সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
টিভিতে সেদিন গানটা দেখতেছিলাম। গানটা ভালই লাগতেছিল। আগে মেলাবার শুনছি। আবারও শুনতে ইচ্ছা হইলো, কিন্তু সময় ছিল না হাতে।
পুরাটা না দেইখা বারাইয়া পড়লাম। গান দেখি পিছু ছাড়ে না। সুগভীর চিন্তায় নিপতিত হইলাম। একদিন তাইলে সাইকেলে কইরা ঢাকা শহর ঘুরা যাইতো? শায়েস্তা খানের আমলে গ্রাম থেকে সাইকেলে কইরা ঢাকা শহরে এসে ছেলে মেয়েরা পাবলিককে রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য শাসাইতো। বলতো, সাইকেলে ব্রেক নাই, ওরে ও পাবলিক ভাই।
তাই দেখে পাবলিক রাস্তাও ছাড়তো। এই গল্প এখন কাউরে বললে ভাববে পুরা ব্যাপারটাই বানানো। আমারও মনে হইতো বানানো। কিন্তু আমি পুরানা লোককে গল্প করতে শুনছি, একদা ঢাকা শহরে সাইকেল চলতো। সাইকেল এখনও চলে, ক্রীড়াচ্ছলে সাইকেল চালানো নয়, নয় শিশুতোষ সাইকেলও।
মাঝে মাছে জ্যাম বাজলে দেখবেন আশপাশে একটা দুইটা সাইকেল। সাইকেল চালায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যাদের আয় এতটাই কম যে, লোকাল বাসেও সাচ্ছন্দ্য হয় না, তারাই সাইকেল চালায়। এরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, দ্রুতগামী বাস ট্রাকের সঙ্গে একই লেনে সাইকেল চালায়। যানবহনের মধ্যে সবচেয়ে অপ্রস্তুত মনে হয় এই সাইকেলগুলোকেই।
শুনি যে, আশপাশের অনেক দেশে বড় শহরে মানুষ খুব সাইকেল চালায়। সাইকেলের জন্য সেখানে আলাদা লেন আছে। কিন্তু আমাদের শহর পরিকল্পনায় আলাদা যানবহনের জন্য আলাদা লেনের আইডিয়াই নাই। তাই বড় লোকের চোকে সামনে পইড়া এখন বড় রাস্তা থেকে রিকশাই উধাও। আলাদা লেন, রাস্তা বড় করা, ওভার পাস করার প্রস্তাব শোনা যায় না।
মাথামোটা লোকেরা শুধু রিকশা উঠাইতে কয়। রিকশা তো অনেক উঠলো, জাম কমলো?
আর অন্য জিনিশের সাথে জ্বালানী তেলের দাম যেভাবে বাড়তেছে তাতে আবার রাস্তায় রিকশা নামানোর সময় হয়তো দূরে নাই।
যাই হোক, সাইকেলের কথায় রিকশা আইসা পড়লো। খুব খারাপ কথা। সাইকেলের জন্য খুব ব্যথা লাগে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।