সদা সর্বদা আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা যেন যে কোন কাজের মাধ্যমে বা কথার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করতে পারি তাহলে কেবল নাজাত বা মুক্তিলাভ করতে পারবো এছাড়া কখনোই মুক্তিলাভ সম্ভব নয়। তাই আল্লাহ তায়ালার পছন্দনীয় কাজগুলি সর্বাগ্রে আমাদের চিনা বা জানা দরকার । আর এগুলো চিনা বা জানা আপনার বা আমার মত অতি সাধারণ ব্যক্তির দ্বারা সম্ভব নয়। এ সব চিনতে বা জানতে হলে গভীর জ্ঞানের এমনকি অদৃশ্যের জ্ঞানের পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে তা আপনার বা আমার নেই।
তাহলে এটা আছে কার? আমি বা প্রত্যেকটি সচেতন ব্যক্তিই বলবে যে, নবী বা রাসূলের (সাঃ) এই ধরনের জ্ঞান আছে। তাই ভাল-মন্দ যেটা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় বা অপছন্দনীয় তা চেনার একমাত্র উপায় হচ্ছে রাসূলের (সাঃ) সহীহ ও বিশুদ্ধ হাদিসের সরণাপন্ন হওয়া। সহীহ ও বিশুদ্ধ বলার কারণ হল হাদিসের মধ্যেও অনেক হাদিস আছে যেগুলোর বিশুদ্ধতার কোন চিহ্নমাত্রও নেই। যাইহোক, আমাদের রাসূল পাক (সাঃ) স্বয়ং তার বিশুদ্ধ হাদিসে বর্ণনা করে বলছেন যে, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। অথচ আমরা তাঁর এই বাণীটিকে গুরুত্ব না দিয়ে একে অপরকে বিভিন্নভাবে আঘাত দিয়ে থাকি।
শুধুই আঘাত দিই তাই নয় এমনকি খুন বা হত্যার মত জঘন্য অপরাধ করে থাকি তাও আবার আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায়। যে আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনে স্পষ্ট করে বর্ণনা করছেন যে, "তোমরা নিজেদের মাঝে সদয় হও এবং কাফের এর বিরুদ্ধে হও কঠোর" । আর আমরা তাঁর উল্টো কেননা, একটি ইতিহাস তুলে ধরা জরুরী মনে করছি তা হল- যখন লেবাননের উপর ইসরাঈল হামলা চালাচ্ছিল আর লেবানন তার মোকাবেলা করছিল। এক পর্যায়ে যখন লেবানন বিজয়ের কিরন দেখতেছিল সেই সময় হঠাৎ করে হুংকার দিয়ে উঠলো ইসলামের দরদী নামের একদল আলেম যারা বলল- "হিজবুল্লাহদেরকে সাহায্য করা যাবে না...."। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ তাদের এই কথাকে আপনারা কি কখনো একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেছেন! তাদের এই হুংকারের অর্থ হচ্ছে হে মুসলিম জাতি! হিজবুল্লাহকে সাহায্য করা থেকে বিরত থাক আর ইসরাঈল তোমাদের শিশু হতে শুরু করে সবাইকে হত্যা করে তোমাদের বাসস্থানকে দখল করে নিতে দাও এবং তোমাদের পবিত্র ভূমি প্রথম কিবলাকে ইসরাঈলীদের উপাসনালয়ে রুপান্তর করতে দাও।
ঐ সকল আলেমের এই কথা দ্বারা তারা প্রমাণ করেছে যে তারা ইসরাঈলের ধামাধরা গোলাম। কারণ, যুদ্ধের শুরু তারা কিছুই বলেনি । কখন বলেছে? ঠিক যখন ইসরাঈল পরাস্ত হচ্ছে আর লেবানন বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে তখন তারা এই কথা বলছে। একটু চিন্তা করুন পাঠকবৃন্দ যে, হিজবুল্লাহ লড়াই করছে লেবাননের সকল মুসলমানের জীবন রক্ষার জন্য ও দেশকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে টিকে রাখার জন্য আর তারা বলছে হিজবুল্লাহর সাহায্য করা থেকে বিরত থাকতে! তাহলে এটা কি সৎকাজে বাধা প্রদান নয়? যেখানে আল্লাহ তায়ালা সৎকাজের আদেশ ও উৎসাহ দিতে বলছে সেখানে তারা আদেশ বা উৎসাহ তো দূরের কথা তারা বাধা প্রদান করছে। তাই আপনাদের নিকট আমার আকুল আবেদন হচ্ছে সঠিক আলেমের শিক্ষা নিন ও সবাই মিলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে ইসলামের আসল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।