যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
পড়শী একটা সাইকো। কথা বলেন পিকিউলিয়ার। বুঝলেন ভাই, আমার না একটা প্রোমোশন হয়েছে! হাত ধরে টানতে থাকেন একদিকে। আমি উত্তরমুখো, তিনি দক্ষিণমুখো। ক্রসিং এর সময় হাত ধরে এই সংলাপ।
তারপর টানতে থাকেন দক্ষিণে। আমি বলি, ভাইজান, ব্যস্ত আছি!
তার কানে ঢোকে না। আবার হাত টানে এবং রিপিট করে আগের বক্তব্য। বস, একটা প্রমোশন পেলাম!
এমন অত্যাচার এড়াতে তাকে দেখলেই অন্যদিকে হাঁটি। কিছুক্ষণ আগে দেখা হলো সিড়ি দিয়ে নামতেই।
আমাকে বললেন, বুঝলেন ভাই, আজ ছিল আমার ম্যারিজ ডে!
নিরীহ ভাবে কনগ্রাচুলেশন বলি।
তিনি দেখি মহা উচ্ছ্বসিত। বললেন, বুঝলেন ভাই, লং ফাকিং এইটিন ইয়ার্স! আজকে খেতে গেছিলাম মিসেসকে নিয়ে, পাশের ভদ্রলোক আমার মেয়েকে দেখে বিশ্বাসই করতে চায় না যে এত বড় মেয়ে আমার! হাহাহাহা!
চুপ করে থাকি। বুঝলেন ভাই, জিনস পড়লে কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না, আমার বয়স চল্লিশ!
আমার অনেক কাজ। কোন মতে হাত ছাড়িয়ে তাড়া দেখিয়ে সরে পড়লাম।
কাজ শেষে যখন আবার সিড়ি দিয়ে উঠছি, দেখা হলো আবার তার সাথেই। আমাকে দেখেই হাত টেনে নীচের সিড়িতে স্টেপ দেন।
বুঝলেন ভাই, আজকে আমার ম্যারিজ ডে ছিল!
ওহ!
লং ফাকিং এইটিন ইয়ার্স!
আমি এবারও তাকে কনগ্রাচুলেট করি। তারপরে মাথায় দুষ্টবুদ্ধি খেলে। বার বার তার "ফাক" শব্দের ব্যবহারে অতিষ্ঠ।
বলি, ভাই আজকে আপনাদের এই বিরল ফাকিং মুহূর্তে একটা চমৎকার গানই হতে পারে দারুন এন্টারটেইনমেন্ট। ভদ্রলোকের চোখ আগ্রহে চকচক করে ওঠে। মক রকার জ্যাক ব্ল্যাক এর টেনাসিয়াস-ডি এ্যালবামের সিক্সথ এ্যালবামটা পেনড্রাইভে করে তার কম্পিউটারে কপি করে দিয়ে আসি।
বাসায় এসে কিচেনে ঢুকি। আমার কিচেন থেকে তাদের বেডরুমের প্লেয়ার বাজলে শোনা যায়।
কিছুক্ষণ আগে শুনি, হুড়োহুড়ি, ঝাপটাঝাপটি! এরপরে দরজায় অনবরত কড়া নাড়ার শব্দ। দরজা খুলে দিতেই ভদ্রলোকের কেলায়িত হাসি।
বস, আজকে সফটলি না হার্ডলি লাগবে! কিছু আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।