অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...
জীবন নাকি এখন তোমার কাছে দুর্বিষহ মনে হয়
তুমি ভারাক্রান্ত , হয়ে উদভ্রান্ত
দিগ্বিদিক কান্ডজ্ঞান শূন্য
বলছ , তোমার হাসি , তোমার কথা
সবটাই নাকি জাগতিক অভিনয়!
কোন অস্পৃশ্য আদলের ক্ষণিক উপস্থিতি
অযৌক্তিকতায় আন্দোলিত করে সজোরে
তোমার অনভিজ্ঞ হৃদয়।
তুচ্ছ মানবীর ক্ষুদ্র, দৃঢ়, সংযত উপেক্ষা
ভেঙে খান খান স্বপ্নচূড়া
পলকে আবেগী স্রোতে ভেসে
মুহ্যমান, ম্রিয়মাণ ; খোঁজো আশ্রয়।
ভাঙছো তুমি পলে পলে; অপমানিত !
ভাবছো হেরে গেছো;
ক্ষোভের প্রকাশে ছেড়ে যাবে সভ্যতা
ফিরিয়ে নেবে মুখ নিজের থেকেও; ঘৃণায়।
আপন স্বত্তাকে তাচ্ছিল্য ভরে তুলে আনো
অতৃপ্তিতে তৃপ্তি খোঁজার অন্বেষণে
অযথাই টেঁনেহিঁচড়ে
অজানা রহস্য - জন্ম পরিচয় ।
যুবক, তোমার গাঢ় কৃষ্ণকায়, ঋজু দেহে
এখনও মাটির চিরচেনা সোঁদা গন্ধ
দৃষ্টি এখনও সরল- যতটা প্রয়োজন
হাসি পঙ্কিলতা বিবর্জিত
তোমার কথায়, ছন্দে, আনন্দে
বেপরোয়া তারুন্যে দৃঢ়তা ছলকায়।
তুমি ডুবে যাওয়া ডুবুরিরূপে বড় বেমানান
হাল ছেড়ে দেয়া নাবিক-
একবার তাকিয়ে দেখো
পরিচয়হীন শিশুরা দেয় গড়াগড়ি পথে
নয়তো পরে থাকে ডাস্টবিনে
তোমাকে ঘিরে আছে বন্ধন অটুট -
রক্তের সর্ম্পক এখানে হার মানে পরম মমতায়।
এখন তো কেবল শুরু পথ চলা
জীবনের ভাঁজ গুলো এখনই খুলবে
একে একে, প্রতিদিন
বিস্তৃত গন্ডিতে কত মুখ উন্মুখ
বন্ধু-স্বজন-পরিবার-পরিজন,
কেন্দ্রে তুমি কি করে ফেরাবে!
শুধু একরোখা হয়ে,
জ্ঞাতসারে যুক্তি এড়িয়ে
কেন বাড়াও হাত ,
ছুঁতে চাও চাঁদ ঘোর অমানিশায়!
সময় ফুরিয়ে যায়নি,
পূর্ণিমা আসবে প্লাবনের মত
নরম আলো নিয়ে
আজকের বালখিল্যতা আবছা অতীত হবে
কোথাও আর উপদেশ নয়-
আবর্তন কর রচিত সুষম কক্ষপথ
যুবক, ফিরে নয়, ঘুরে দাঁড়াও শুধু
তোমার আপন স্বত্তায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।