সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা কুরুপতি! দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত,সদ্য করিয়াছি পান—সুখী নহি তাত, অদ্য আমি জয়ী।
অন্তরেতে আর
---------------
ঘরেতে জনম মোর ঘরেতেই বাস
তবুও কান্দিয়া মরি করি হাহুতাশ
বিবি বাচ্চা সুখ আছে যেন আসমান
বাবা আছে মা আছে ফেরেস্তা সমান
খোদারে স্মরণ করি নবীরে সালাম
ঈমানে বান্ধিয়া পড়ি নামাজ কালাম
এ শরীলে দিছ বল, সবি তো তোমার
হুকুমও সদা মানে অন্তর আমার।
আচানক্ কি যে হইল ঠার না পাই
বেগানা নারীর রুপে অন্তর ডুবাই
পিরীত অনলে পুড়ি হইয়াছি ছাই
কোন্ রাহে যাই খোদা কী করিগো সাঁই!
কিতাবেতে বলে এক, অন্তরেতে আর
কেন গড়িলে না মন করিয়া অসাড়?
ঝাঁসির রাণী
------------
কিচ্ছা নয় এ, তবু কিচ্ছার বাড়া ভাই
ঝাঁসির রাণীর কথা বলিবারে চাই
বলিয়া কাম কি, শুধু স্মরিবার তরে
চলেন বোলাই আজ ঝাঁসির রাণীরে।
ভাতার মরিল যবে রাজ্যপাট রেখে
অবলা সতী নারী চক্ষে আন্ধার দ্যাখে
বীরগর্ভা নয় রাণী নাইরে সন্তান
কে ধরে রাজ্যের হাল কে করে সন্ধান?
আ:হা রে তাজ্জব যাই- সে কালের কথা
অবলা নারীই দ্যাখো হয় দেশমাতা
শনৈ: শনৈ: রবে নাংগা তলোয়ার হাতে
ছুটে যায় রাণী দ্যাখো শত্রু মুন্ডপাতে;
কে বলে অবলা নারী? তার মুখে ছাই
ঝাঁসির রাণীরে কোটি সালাম জানাই।
লখিন্দরের প্রেম
----------------
"সোনার চান্দ রে মোর পিত্লা ঘুঘুরে
আসগো যতন করি বসাই আদরে
এই নাও গজমতি পীরিতির হার
সদা সুখে রবে তুমি হইয়া আমার-"
কতযে মনসা দেবী কাতর নয়নে
নিবেদন করে প্রেম লখিন্দর সনে
কিবা দেবী কিবা ধর্ম কি-ই বা ঈশ্বর
খারিজ করিয়া লখি কহিল সত্বর
'মনুষ্যে বসতি মোর এভুবনে বাস
ধরিত্রি নারীতে তাই মজাই বিশ্বাস'।
শুনিয়া চটিয়া উঠি দেবী করে পণ
বাসর রাতেই লখি হইবে নিধন
এ কিচ্ছার জানি শেষ হয় না এক্ষণে-
মনুষ্যে বসতি প্রেম, আমার বিধানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।