আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাফ প্যান্ট

তখন প্রাইমারী স্কুলের শেষ সময়। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও শেষ। রেজাল্ট ও দিয়ে দিয়েছিল। যথারীতি প্রথম স্থানেই ছিলাম। এটা ব্যাপার না।

কিছুদিন পর বৃত্তি পরীক্ষা। তাই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। পরীক্ষা শেষ পড়তে ইচ্ছা নাই। বাবা তাই সেই যে কত ভালোবাসা তোমাকে এটা দেব ওটা দেব। আর কয়েকটা দিন ভালো করে পড়।

এটা ওটা পাওয়ার আশায় পড়তাম। বাবাও একদিন এটা ওটা কিনে দিতেন। তখন হাফ প্যান্ট পড়তাম। তো বাবা একদিন আমার জন্য একটা জিনস এর ফুল প্যান্ট কিনে নিয়ে আসলেন। সে যে আমার কি আনন্দ।

অনেকবার পড়লাম আবার খুললাম,আবার পড়লাম আবার খুললাম। কেমন জানি আনইজি আনইজি লাগছিলো। এছাড়া নিচের দিকে একটু চাপই পড়ছিলো(বুঝে নিলে ভালো)। হাটতে পারছিলাম না টিকমত। তাঅ সেটা সেদিন সন্ধ্যা থেকে ঘুমানো আগে পর্যন্ত পড়াই ছিলো সেটাও অনেক কষ্টে।

পড়ে আর পড়া হয়্নি। আসল বৃত্তি পরীক্ষা। ইচ্ছা না থাকা সত্বেও মা জোর বায়করে পড়িয়ে দিয়েছিলেন। লজ্জ্ বাইরে বের হতে পারছিলাম না। যারা সবাই এতদিন আমাকে হাফ প্যান্ট পড়া দেখসে তারা কি ভাববে এই ভেবে।

অনেক হেসিটেশন পরে বাইরে বের হলাম। অনেকের থেকে আশীর্বাদ নিলাম। যদিও তারা স্বাভাবিকই ছিলো কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে সবাই কেমন যেন আমার দিকে তাকাচ্ছে। একটু লজ্জ্বাও লাগছিলো। পরে কোন এক সময় পরীক্ষার টেনশনে আর কিছুই মনে ছিলো না।

বাসায় এসে খোলে আবিষ্কার করলাম প্যান্টটা নিচের দিকে একটু ছিড়া ছিলো যেটা মা পর্যন্ত ফলো করে নাই। তারপর যসেযে আমার কি কান্না,,,!!!অবশ্ এর পর থেকেই আমি পূর্ণভাবে ফুল প্যান্ট পড়ার নাম অর্জন করি,,,, ­বলে রাখা ভাল ৩ মাস পর রেজাল্ট দিলো। টেলেন্টফুল­ ে বৃত্তি ও পেয়েছিলাম। সেদিন প্রথম আমার বাবা একটু চোখে পানি এনেছিলেন হয়তো খুশিতে। তখন আমার বাবা আমাকে দ্বিতীয়বারের মত জিনস প্যান্ট কিনে দিয়েছিলেন,সাথে জুতা,মোজা শার্ট ও ছিলো।

অনেক দিন বাবার সাথে যাওয়া হয় না কিছু কেনা ও হয়না,হয়্না হাটা বাবার তর্জনী ধরে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।