আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্ড ফ্লুঃ প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ!

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে

দেশে মানুষের দেহে সংক্রমিত বার্ড ফ্লু রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে না। যে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষাগার রয়েছে সেখানে হাঁস-মুরগি ও পাখির দেহে সংক্রমিত রোগটির ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব। মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে কি না_ তা নির্ণয় করতে হলে নমুনা পাঠাতে হবে অন্য দেশে। পরীক্ষা শেষে ফলাফল দেশে এসে পেঁৗছতে সময় লাগবে অন্তত তিন সপ্তাহ।

অথচ আক্রানস্ন হওয়ার তিন দিনের মধ্যে একজন বার্ড ফ্লু রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার কথা। আইইডিসিআর-তে, এগুলোর কোনোটিতেই বার্ড ফ্লু ভাইরাসের (এইচ৫এন১) যে অংশটি মানুষের মধ্যে সংত্রক্রমিত হয়, সেই এন১ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এখানে শুধু হাঁস-মুরগির মধ্যে সংক্রমিত অংশ এইচ৫ শনাক্ত করা সম্ভব। মানবদেহে সংক্রমিত অংশ এন১ পরীক্ষার জন্য থাইল্যান্ডের 'ন্যাশনাল ইনসদ্বিটিউট অব এনিম্যাল হেলথ' ও যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলসহ (সিডিসি) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চারটি গবেষণাগারের যে কোনো একটিতে পাঠাতে হবে। সে ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পর ফলাফল দেশে আসতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগার কথা।

এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর-এর একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, প্রথম যখন বিমানে বার্ড ফ্লু দেখা দেয়, তখন নমুনা পাঠানোর পর ফলাফল দেশে আসতে সময় লেগেছিল তিন সপ্তাহ। অথচ গত বছর মার্চে দেশে প্রথমবারের মতো ব্যাপকহারে বার্ড ফ্লু দেখা দিলে সরকার দেশেই রোগটি নির্ণয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি পরীক্ষাগার স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল। বলা হয়েছিল, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রে (আইইডিসিআর) 'ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরি' নামে আরো একটি পরীক্ষাগার স্থাপন করা হচ্ছে। এর জন্য বর্তমান ল্যাবরেটরিকে 'সেফটি লেভেল-৩' এ উন্নিত করতে হবে। তখন বিশ্ব সাহায্য সংস্থা, জাপান সরকার ও বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের এ নিয়ে একটি চুক্তিও সম্পাদিত হয়।

তাদের দেওয়া অর্থের সঙ্গে যোগ হয় ২০০৬ সালে ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য ডেনমার্ক সরকারের দেওয়া ২ কোটি টাকা। এমনকি তখনই বিপুল অগ্ধেকর অর্থ ব্যয় করে সাভারের ল্যাবরেটরিতে কর্মরত জনশক্তি ও সরকারি চিকিৎসকদের দক্ষ করে তুলতে যুক্তরাষদ্ব্রের সিডিসি ও থাইল্যান্ডের গবেষণাগার থেকে উচ্চ প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরেও পরীক্ষাগারটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। অবশ্য আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান আগামী জুনের মধ্যেই রোগ নির্ণয়ে একটি 'ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সেন্টারকে লেভেল-৩'-তে উন্নিত করা সম্ভব হবে। তথ্য সহায়িকাঃ সমকাল!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।