কশ্চিৎকান্তা বিরহগুরুণা শাপেনাস্তংগমিতমহিমা...
পূবে বিশেষত বঙ্গদেশে যখন কার্যকারণ অনুসন্ধান কিংবা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষনের যাবতীয় প্রয়াস বিশ্বাস নামক অন্তসারশুন্য বস্তুর শৃঙখলে আবদ্ধ, তখন কারণ এর বিচিত্র ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন-অনুসন্ধানের মাধ্যমে সুচতুর পশ্চিম করায়ত্ত করিয়াছে টুলস এন্ড টেকনোলজি নামক চাবুক এবং সেই চাবুকের কষাঘাতে জর্জরিত আমরা। আমাদিগের পরামারাধ্য দেবতাবৃন্দ, আল্লা, ভগবান, কৃষ্ণ ও মোহাম্মদের টেনশনে আমরা যখন মুগ্ধ এবং গর্বিত মীমাংসার প্রশান্ত ভুমিতে নিজ নিজ মস্তিস্ক সমাহিত করিয়াছি, তখনতো শ্বেতচর্মধারীদের ভারি সুবিধা, - আমাদিগকে বিজ্ঞানের মধ্যে না রাখিয়া বিজ্ঞানের ব্যবহারজীবি তথা ক্রেতায় পরিণত করিবার সুবর্ণসুযোগ তাহারা ছাড়িবে কোন দুঃখে?
যে দেশে জগদীশচন্দ্র সত্যেনবোসের চাইতে পীর-ফকির-আউলিয়া অত্যধিক সমাদৃত, বৃহদাকার ডিগ্রী লইয়াও যে বুদ্ধিজীবি জ্যোতিষের প্রদত্ত প্রস্তর অঙ্গুরীয় ধারন করেন, দর্শনচর্চ্চার নাম করিয়া টুপিদাড়ির মজমায় মজিয়া যান এবং যে দেশে পাঠশালার পরিবর্তে ধর্মশালাগুলোর প্রবেশ এবং প্রস্থানপথ পদশব্দে মুখরিত হইয়া উঠে, - সেদেশে আমরা মরিস বুকাইলির ক্রোড়ে বসিয়া পবিত্র গ্রন্থের ভিতরে অতুলনীয় সব পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গনিতশাস্ত্র সন্ধান করিতে করিতে কোন একদিন মহা আবিষ্কারক হইয়া উঠিব ইহাতে সন্দেহ নাই।
ধন্যবাদ হে ঐশী ধর্মের মহাপুরুষগন! আপনারা বারংবার এই ভুমিতে আর্বিভূত হইয়া আমাদিগের ক্রীতদাস পদমর্যাদা অক্ষুন্ন রাখুন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।