আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-৪১: এত রাতে কে রে?
সাংবাদিক সমিতিটা ছিল অন্য রকম এক আনন্দ আড্ডার জায়গা। বিকাল বেলায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে যুগল আড্ডা দেখতে দেখতে আমরা সাংবাদিক সমিতির অফিসে ঢুকতাম। নিজেদের প্রিয়জন বেলা ডোবার আগেই হলে কিংবা বাসায়।
তাতে কারো আফসোস ছিল না। কারণ রিপোর্টারদের জীবনটা এমনই।
আমাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসাবে কোনো নারী ছিলেন না। পরে ছিলেন বিডি নিউজের তানভী, এখন ইনডেপেনডেন্ট টিভিতে ও নিউ এজের একজন। আগে ছিলেন ফারজানা রূপা।
সে সময় মাতৃভূমিতে কাজ করতেন।
তবে নারী মুক্ত এ সাংবাদিক সমিতিতে কম মজা হতো না। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে মজার পাবলিক ছিলেন মঈনুল হক চৌধুরী সাহেব। উনি সে সময় অর্থনীতি পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ছিলেন। ছোট বড় সবাইকে আপনি করে বলেন।
চাটগাঁর ছেলে মইনুল রসে ভরা। সে রকম রসালো সব কথা তার। আমার তাকে বেশি ভালো লাগতো। কারণ হলো মঈনুল ভাই সব সময় হাসি মুখে থাকতেন। এটা তার ভালো গুণ।
সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারো ওপর রাগ না করা । এক কথায় এ ক্ষেত্রে অসাধারণ। আমাদের মধ্যে যারা এডাল্ট জোকস বলে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন, মঈনুল ভাই তাদের একজন। অন্যজন আবুল কালাম আজাদ। চুটকি আজাদ নামে তার সমধিক খ্যাতি ছিল।
সে সময় মুজাদ্দেদ পত্রিকায় কাজ করতো। মজার লোক আজাদ আমাদের ভালো বন্ধুও বটে। প্রেম ট্রেমের ধারে কাছে নেই, ক্লাশ পরীক্ষা আর অফিস নিয়ে মতোয়ারা।
রাতে ফিরে সবাই সাংবাদিক সমিতির চ্যানেল বদল নিয়ে হাতাহাতি, ঝগড়া আবার যাবার বেলায় সব মিটমাট। সে সময় আমরা হিন্দি রিমিক্স গানগুলো বেশি দেখা হতো।
সেই রকম সব রগ রগে দৃশ্য। যেহেতু কোনো তরুণী এখানটায় রাতের বেলা ঢু মারতেন না। তাই এখানে সেন্সর করে টিভি দেখার প্রয়োজন ছিল না। সে সময় সোনিয়া গানটা খুব জনপ্রিয় ছিল । আমরা সবাই মিলে উপভোগ করতাম।
আমাদের মধ্যে আরেকজন ছিল মজা করতে পছণ্দ করতেন তিনি শঙ্কর দা। বাইরে থেকে দেখে বেশ রাশভারি মনে হলেও তার মনের ভেথর যে এত অফুরান আনন্দ আছে সেটি অনেকে টের না পলেও আমরা জানতাম। সব মিলিয়ে সাংবাদিক সমিতির বিকাল গুলো ভরে উঠতো আনন্দ আড্ডা আর নিউজ শেয়ারিংয়ে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলতে কৌতুক, হাসি ঠাট্টা। শেষের দিকে আমাদের এই নটি কৌতুক আসরে যুক্ত হয়েছিল শামীম।
সে ডেইলি ইনডেপেনডেন্টে ছিল। বর্তমানে রেডিও টুডেতে। তবে সেলিম ও ইশতিয়াক ওরা দুজনেই এখন নিউজ রুম বস। ওরা এ ধরণের কৌতুকে আগ্রহ দেখাতো না। ইশতিয়াক এখন বাংলা নিউজের চিফ অব করসেপনডেন্ট এবং সেলিম হেড অব নিউজ, রেডিও টুডে।
আমার দেখা দুজন অসম্ভভ ভালো ছেলে। ওদের নিয়ে পরে কোনো একটা আলাদা কিস্তি লিখতে হবে।
অনেকে আমাকে কৌতুকের জণ্য চাপাচাপি করতেন। আমি একটাই এডাল্ট কৌতুক জানতাম। সেটি শোনানো যাচ্চেছ না।
তবে সে সমসয় বন্ধুরা সবাই বলত 'এত রাতে বুকের ওপর কে রে? মাসিমা আমি অমল ... বাবা অমল... এ যে পাপ... এ যে অধর্ম'। এটা নিশ্চয় প্রথম আলোর মোশতাক, বাংলা নিউজের ইশতিয়াক, রেডিও টুডের শামীম, বিডি নিউজের মঈনুল ভাই , সরকারি চাকুরে আজাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যাকারিয়া ভাই, ডেইলি স্টারের তুষারসহ অনেকে বুঝতে পারছেন। এ কৌতুকটা মাসিমার সাথে ভাগ্নের ফিজিক্যাল রিলেশন নিয়ে ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।