জয় বাংলা
একটা ইতর প্রাণীর জীবনের কোন উদ্দেশ্য থাকে না। সে কখনও জীবনের লক্ষ্যও খুঁজতে যায় না। তবে মানুষের কেন জীবনের তাত্পর্য বের করতে হবে? কারন মানুষ ইতর নয়। খুব ভাল কথা। যদিও ইতর প্রাণী করে এমন কোন জিনিস নেই যা মানুষ করে না।
তবে বুদ্ধিবৃত্তির দিক দিয়ে মানুষ ইতর প্রাণীর থেকেও বেশী কিছু করে থাকে। মূলতঃ এই বুদ্ধিই মানুষকে ভাবিত করে তুলে পার্থিব এই জীবনের অর্থ খুঁজে বের করতে্। এই বুদ্ধির জোড়ে একদিকে মানুষ যেমন প্রকৃতিকে জয় করেছে নিজেকে উন্নত করেছে অপরদিকে এই বুদ্ধি দিয়ে মানুষ এমন এক বিশ্বাস দাড় করিয়েছে জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বের করতে গিয়ে যার কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তাই মানুষ খুব সহজেই অদৃশ্য শক্তির অলীক অস্তিত্ব কল্পনা করে নিজেকে সেই শক্তির কাছে সমর্পন করেছে। যে মানুষ হিংস্র জন্তু জানোয়ারকে বশে নিয়ে এসেছে, তাদের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পেরেছে, প্রকৃতিকে আপন নিয়ন্ত্রণে এনে তাকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করেছে সেই মানুষ তার মনোজগতে কি করে অদেখা শক্তির অস্তিত্বকে ঠাঁই দিতে পারে তা সত্যিই বিস্ময়কে উসকে দেয়।
মানুষের মনের দুর্বলতাই এর জন্য দায়ী। কেবল যে দুর্বলতা তাই নয়, বরং সীমাহীন লোভ, আকাঙ্খা, যা কিছু বাস্তব যা কিছু সত্য তা মেনে না নেওয়ার প্রবণতাই মানুষকে এমন এক অসার অবাস্তব শক্তির দিকে আকৃষ্ট করেছে। দিনে দিনে তার মনে জন্ম নেওয়া এই অলিক বিশ্বাস প্রগাঢ় হয়েছে, নিজেকে সঁপে দিয়েছে তারই মনোজগতে রচিত কাল্পনিক শক্তির কাছে। আমজনতার এই দুর্বল চিত্তকেই পুঁজি করে সমাজের রাষ্ট্রের সুবিধাবাদী মানুষ কাল্পনিক এই শক্তির একটি রূপ দেবার চেষ্টা করেছে। সমাজকে মুঠোবন্ধি করবার জন্য সুবিধাজনক আইন তৈরী করেছে, গ্রন্থ রচনা করে অশরীরী শক্তির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে, বিকাশ ঘটিয়েছে নতুন নতুন মত ও পথের।
এই মত আর পথ হচ্ছে ধর্ম যা অশরীরী শক্তিকে তুষ্ট করার, অনন্তকালের জন্য চিরসুখী হবার। মানুষের এই তীব্র লোভ তাকে তার জাত থেকে নিচু স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। আপন দুর্বলতায় স্বীয় মন থেকে উত্পন্ন হওয়া অজানা শক্তিকে পূজা করা নিচতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ধার্মিকেরা তাই নিচু জাতের মানুষ, লোভী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।