আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১ কয়েনের অন্য পিঠ.....



দূর্নীতি দূর্নীতি করে আকন্ট চিৎকারে নিমজ্জিত সরকার। আজ দূর্নীতি নিয়ে কথা বলা যায়। একটা সময় ছিল অন্যরকম। কোন প্রতিবাদ দূরে থাক আ..ও করা যায় নি। ত্রাসের সেই ভয়াবহতা থেকে মুক্তির পর আজ এসেছে এই প্রসংগ।

সেই ভয়াবহতা কি এমনি এমনি দূর হয়েছে? তবে আমাদের কিউতে তা নেই কেন। অন্ধ হলেই কি প্রলয় বন্ধ হবে? আমরা যার যা প্রাপ‌্য তাকে তা দিতে এখনো কুন্ঠিত!!!! তবে আর পরিবর্তন কোথায়? তাকি কেবল কিছু চেহারা বদল? কেবলই কিছু নাম বদল? ১/১১। সর্বজনবিদিত এক নাম। ৯/১১ এ আমেরিকার বড়সর ধাক্কার পর ১/১১ বাঙালীর জীবনে এক অভূতপূর্ব ধাক্কা। জাতীয় জীবেন বাঙালীর যত বদনামই থাকুক না কেন এই রুপ অবস্থা পূর্বে কোন কালে ঘটে নাই।

৬৯, ৭১, এ বীর বাঙালী ৯০ এ অকুতোভয়...২০০৭ এ এসে আচমকা এমন এক পরিস্থিতির মূখোমূখি...অ ভাবনীয়। সে যাক। এখন পর্যালোচনা চলছে এ থেকে উত্তরনের। প্রসংগক্রমে চলে আসে প্রশ্ন এ দায় কার। সহজ উত্তর যেহেতু আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রকাশ্যেই এর সাফল্য প্রশ্নে বলেছেন উনাদের আমরাও মেনে নিই তা সত্যি।

২০০১ এর নির্বচনে পরাজয়ের পর থেকে তাদের একমাত্র মিশন এবং ভিশন ছিল যে েকান মূল্যে ক্ষমতায় যাওয়া। তার প্রমাণ এটিম সমর্থকরা স্বীকার না করলেও পুরো জাতি তা জানে। তাদের আলটিমেটাম.. তাদের ক্রমাগত ধ্বংসের রাজনীতি.... জ্বালাও পোড়াও... এব এক সময় ভয়ংকর এক গ্রহযুদ্ধের মূখোমূখী স্বদেশ। অত:পর ১/১১। বিএনপি কি করতে পারত? নির্বাচন বাদ দিতে? তবে কি করত? তারাই ক্ষমমতায় থেকে যেত? আওয়ামী দাবী যতই পূরণ হচ্ছিল তারা ততই দাবীনামা লম্বা করায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ছিল।

এবং মূলত তাদের ভাবধারায় এটাই প্রতিয়মান হয়েছিল একমাত্র সরাসির বিনা নির্বাচনে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিলেই তারা কেবল বিনা শর্তে তা মানত। এই যে অর্বাচিনতা.. আত্মঘাতি রাজনীিত তার দায় কেন সারা দেশবাসী বহন করবে? আজ যে অবস্থা তাতেও আওয়ামী লীগ পরিতৃপ্ত। ভাবখানা আমি খেতে পারব না তোকেও তো খেতে দিই নি..!!! প্লেটই ভেঙ্গে দিয়েছি। আর তথাকথিত সফল সরকার তো রাজনীতি বিদদের চেয়েও মিথ্যুক। সুবিধাবাদী এবং সুযোগসন্ধানী।

আগের রাজনীিতবিদরা যেমন পূর্বর কোন সাফল্যই স্বিকার করত না ... বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা তারচে বহু কাঠি সরেস.... তারা আজ দূর্নীিতর বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে। ভাল কথা। পূর্বেকার অর্জনকে তো স্বীকার কর। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দূবৃত্তাযন তথা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জন্ম এরশাদের স্বৈরশাসনের অনুকূল্যে... অতঃপর কেবলই বিকাশমানতা...পরবর্তী বিএনপি... আওয়ামীলীগ...আবার বিএনপি..... এবং সবশেষে জাতি এ অভিশাপ থেকে মুিক্ত পেল। মুক্তিতো এমনি এমনি আসেনি।

এ ব্যাপারে বিএনপির গত শাসনামলে গৃহিত পদক্ষেপ এবং দৃঢ় সিদ্ধান্তে.. দলীয় সকল চাপ আব্দার এবং সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনতার দিকে চেয়ে গোড়া থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে সক্ষম হয়। যার ফলে বিএনপি আবারও ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ের মূখোমূখি ছিল । আর তাই তার জন্য কাল হল। কারণ যেদেশে আওয়ামীলীগের মতো দল থাকে তার আর কোন শত্রুর প্রয়োজন নেই। এবং দুঃখজনক হল.... এই দখলকারীরা একটিবারও সন্ত্রাসেরমতো ভয়াবহতা থেকে জাতিকে মুক্ত করারা সাফল্যটুকু বিএনপিকে দিতে রাজি নয়... কিন্তু ইতিহাস কারো দয়ার অপেক্ষা করেনা.. সে আপনাতেই প্রত্যেকের স্থান নির্ধারন করে।

আমরা ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।