আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই অপপ্রচার এই অশালীনতা বন্ধ হোক

নির্ভয়ে সত্য বলুন

এই পোস্টের শেষে কয়েকজন ব্লগারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের কাছে তো বটেই, এই ব্লগের সব সদস্যের কাছেই আমি সুচিন্তিত অভিমত প্রত্যাশা করছি। দিনের পর দিন মিরাজের বিরুদ্ধে অশালীন পোস্ট ও মন্তব্য করা হচ্ছে। কী অপরাধ তার? গালি না দেওয়া ছাড়া তার কোনো অপরাধ দেখি না। মিরাজের কোনো লেখায়, তার কোনো আচরণে এমন কিছু আমি খুঁজে পাইনি যে, তাকে নব্যরাজাকারদের দলে, এমনকি তথাকথিত 'সুশীল' ব্লগারদের দলে ফেলতে পারি।

বরং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই ব্লগে যতো ভালো পোস্ট এসেছে, তার কয়েকটি নিশ্চিতভাবেই মিরাজের হাত থেকে। সবকিছু বুঝেও, সবকিছু জেনেও, দিনের পর দিন কেন তাকে উত্যক্ত করা? দেখছি, অগ্নিকুন্ডে কেউ কেউ এগিয়ে দিচ্ছেন দেশলাইয়ের কাঠি। আমাদের অনেক সহ-ব্লগারের মজা করার ধরন নিয়েও আপত্তি করার অনেক কিছুই আছে। ব্লগ কাঠখোট্টা হয়ে যাক- আমি নিজেও সেটা চাই না। অনেক পোস্ট পড়ে আমাদেরও মজা লাগে, অনেক পোস্ট পড়ে আমরাও কৌতূহলী হই।

রাগ ইমনের এক 'সাময়িক' পোস্টে এতো দ্রুত কজন ব্লগারের ইমেইল ঠিকানা চাওয়া হয়েছে যে, পড়ে আমার কৌতূহল হয়েছে- কি না কী। গন্ডারের পোস্টে দুই ব্লগারের দুই ছবির প্রপার্টিজে অদ্ভূত মিল দেখে মজাই লেগেছে আমার। দেখা গেল, আব্দুন নুর তুষার ব্লগে এসে দুএকটি পোস্ট করলেন। আর অমনি তাকে 'ধরাধরি' শুরু হয়ে গেল। গর্ব করে বললেন একজন, 'ব্লগে সবাইকে ধরা হয়!' এই টানাহেঁচড়াতেই বোধহয় রাগিব, ফাহমিদুল হকরা চুপ করে থাকাকেই শ্রেয় মনে করেন।

অথচ নব্যরাজাকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন প্রয়োজন ছিল তো এদের কাছ থেকেই। মুখেই বলি, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পোস্ট নিষিদ্ধ হোক'। এরপর মা-বোন নিয়ে টানাটানি, তারপর গালাগালি। মুক্তিযুদ্ধের ব্লগারদের অভূতপূর্ব সমর্থন নিয়ে সদ্যই একটি বড়ো সাফল্য পেয়েছি। ব্লগের এখন যে অবস্থা, এভাবে চললে ভবিষ্যতে আর কোনো দাবিতে ব্লগারদের সমর্থন পাবো বলে মনে হয় না।

ব্লগের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, নিজের পরিচয় দেওয়াটাও অবমাননাকর হয়ে পড়েছে। স্যাটায়ার হোক, বিদ্রুপ হোক- কিন্তু গালাগালি কেন? এর আগে শুরু হয়েছিল ধর্ম নিয়ে অবমাননাকারী পোস্ট। ভাগ্য ভালো, নব্যরাজাকাররা তা থেকে কোনো সুযোগ নিতে পারেনি। যখন-তখন যে কেউ যার-তার ব্যান দাবি করছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হ্ওয়ার পরও যাকে-তাকে নানান অভিধা এঁটে দিচ্ছেন। এর ফলে অনেক যৌক্তিক দাবিও যেমন শেষপর্যন্ত হালকা হয়ে যাচ্ছে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যেও বিভক্তি চলে আসছে।

চিরাচরিত আমলাতান্ত্রিক ঐতিহ্য সত্ত্বেও সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষ এসব কারণেই সম্ভবত কোনো দাবি নিয়ে মাথা ঘামায় না। দাবি আসবেই। কোনো নব্যরাজাকারের অপতৎপরতা থামাতে ব্যান চেয়ে দাবি আসতেই পারে। কিন্তু সেটা আসুক দলবদ্ধভাবে, জোরালো রূপে। যেমন ধরা যাক 'জন্মযুদ্ধ' গ্রুপের কথা।

এই গ্রুপের ২০০ সদস্য যদি সমস্বরে একটি দাবি তোলেন, তা উপেক্ষা করা যে কারো জন্যই কঠিন। আমার কথা স্পষ্ট, গালির জন্য যদি কেউ ব্লগে ব্যান হন, তার পক্ষে আমি অন্তত দাঁড়াবো না। আর আমি রাজাকারও নই যে, গালি আর ধমক খেয়ে ব্লগ ছেড়ে পালাবো। নিচে যেসব ব্লগারের নাম উল্লেখ করলাম, তাদের কাছে মিরাজ প্রসঙ্গ এবং ব্লগে অশ্লীলতার চর্চা বিষয়ে অভিমত প্রত্যাশা করছি - এস্কিমো, একরামুল হক শামীম, হমপগ্র, হাসিব, বিষাক্ত মানুষ, অলৌকিক হাসান, আহমাদ মুজতবা, মুজিব মেহদী, জেবতিক আরিফ, হোসেইন, আবদুর রাজ্জাক শিপন, জামাল ভাস্কর, মেহরাব শাহরিয়ার, মাহবুব সুমন, মুকুল, প্রচেত্য, শওকত হোসেন মাসুম, রাগিব, সামী মিয়াদাদ, নরাধম, এম.এ.হামিদ, ধুসর গোধূলি। আরো অনেকের নাম এ তালিকায় আসতে পারতো, কিন্তু সবার নাম এই মুহূর্তে মনে আসছে না আমার।

আশা করি, আপনাদের সুচিন্তিত বক্তব্য অন্য ব্লগারদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে। যারা নব্যরাজাকার হিসেবে এই ব্লগে চিহ্নিত, এই পোস্টে তারা দয়া করে আমাকে কোনো সমর্থন জানাবেন না। আর দয়া করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়েও কেউ কোনো সবক দেবেন না আমাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।