যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বিষয়টা সম্পূর্ণ নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তা দেখে বিরোধিতা। বলছিলাম জামাতে ইসলামীর ভূমিকার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের জেল ও মুক্তি সংশ্লিষ্ট ঘটনাকালিন পত্রিকা, মিডিয়া এবং আড্ডাতে যত মত এসেছে তাদের মধ্যে একটা কৌনিক যোগাযোগ পরিলক্ষিত হয়েছে। কারণ এই আন্দোলনের সাথে সংশ্লিষ্টরা স্পষ্ট ও প্রত্যক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিরোধীতাকারীদের মধ্যেও অগ্রগন্য ছিল। তবে আন্দোলনকালিন এজেন্ডা ধর্মীয় রাজনীতি বা রাজাকার নির্মূল না হলেও এই সফল আন্দোলন একটা ভিত্তি তৈরী করেছে নেতৃত্ব বিকাশ ও চেতনা লালন, সম্প্রসারণের।
জামাত ইসলামীক বুদ্ধিজীবিরা এই আশঙ্কাটা আচ্ করতে পেরেছিলেন বহুপূর্বেই। সেজন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে তাদের কুৎসা ও রটনা ছিল সোচ্চারিত।
এই উচ্চকিত কণ্ঠের সাথে জামাত ইসলামী খুব স্বার্থকভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও রাজাকার প্রসঙ্গটিকে সাবসাইড করতে সক্ষম হয়েছে। আপাত ধর্ম রিগার্ডলেস ইস্যু মনে হওয়াতে সুশীল একটা শ্রেণীও আগস্ট আন্দোলন নিয়ে জামাত নির্মিত প্রতিরূপ বেশ ভালভাবে গিলেছে।
প্রকৃতপক্ষে জামাত ইসলামী দুটো জটিল অবস্থানগত মিশ্রণ সংগঠিত করেছেঃ
১. শিক্ষা ব্যবস্থায় বিগত দিনের অরাজকতার জন্য আগস্ট আন্দোলনকারীদের দায়ী করার একটা ধারণা সম্মুখে এনেছে
২. ধর্মীয় রাজনীতি ও রাজাকার প্রসঙ্গ ব্যতীত একটা জাতীয় এজেন্ডাতে জামাতী বুদ্ধিবৃত্তিকতা নতুন মেরুকরণের সুযোগ খুঁজেছে
তবে স্পষ্টভাবে দুটো ধারণা সর্বতভাবে প্রকাশিত ও আলোচিত হচ্ছেঃ
১. আগস্ট আন্দোলনের বিরোধীতাকারীরা জামাতের দোসর/প্রভাবিত/ম্যানিপুলেটেড হিশেবে চিন্থিত হচ্ছেন
২. আন্দোলনকারীরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধীতা করার একটা বৃহৎ প্লাটফর্ম তৈরী করেছে
স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেফতার ও মুক্তিতে সবচেয়ে বেশী অসহিষ্ণুদের মনস্ত্বাত্বিকভাবে জামাত প্রভাবিত বা প্রভাবণের ঝুঁকিপূর্ণ হিশেবে চিন্থিত করা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।