আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে নারী, জেগে ওঠো, প্রতিবাদ করো অন্যায়ের বিরুদ্ধে

তি তি সম-সাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে লিখতে লিখতে সময় ভালো কেটে যায়। যখন প্রতিদিন ভাবি, এই বিষয়টি নিয়ে লিখবো, তখন নতুন কোনো ঘটনা চোখে পড়ে। আমার একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না। তারপরেও চেষ্টা করি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লেখার কারণে আমাকে বলে, আমি হিটখোর।

হিট পাওয়ার জন্য লিখি। কিন্তু হিট দিয়ে তো আর আমার পেটে ভাত যাবে না। গত পরশুদিনের একটি কথা এখনো মনে হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে আমার বাল্যকালের একটি বন্ধুকে বললাম, আবার বাসে ধর্ষণ হয়েছে। সে কথাটি শুনে হাসলো।

প্রায়ই এ ধরণের কথা শোনে ও হাসে, আর মেয়েদেরকে দোষ দেয়। আমি প্রতিদিনই কথার পয়েন্ট টু পয়েন্ট উত্তর দেই। গতকাল বললাম, ''আমি তোর বোনকে যদি ধর্ষণ করি, তবে কেউ তোকে এই ঘটনা বললে, তুই হাসবি তো? তুই চুপ করে থাকবি তো?'' ও আমাকে গালি দিয়ে চলে গেলো। শুধু এখানে না। প্রতিটি জায়গায় আমার বন্ধুর মতো অনেক নরপিশাচ আছে।

যারা অন্যদের কথা ভাবে না, যেই নিজের কথা বলা হয়, সেই সত্য কথাকে খুন করতে চায়। আর অন্যদের কথা বলা মাত্রই হাসে। ধর্ষণ কীভাবে করেছে, কতজন ধর্ষণ করেছে, রক্ত বের হয়েছে কি না, এই কথাগুলো শোনার জন্য কত না এদের আগ্রহ। ধর্ষণ ইভটিজিং প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। আজ ওর বোন, কাল ওর বোন, পরশু আমার বোন, তারপর আপনার বোন, এভাবেই চলবে।

এই নরপিশাচদের খারাপ কিছু বললেও তাদের কানে যাবে না। প্রতিটি ধর্ষককে একটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই যথেষ্ঠ। ঠিক তেমনি কোথাও ইভটিজারকে ধরা মাত্রই সবাই তাঁর মুখে জুতো মারেন। পরবর্তীতে ঐ ইভটিজারকে আবার দেখা মাত্র আবার জুতোমারেন। দেখবেন, জানোয়ার মানুষ হয়ে গেছে।

আর যদি পারেন প্রতিটি ইভটিজারের বাড়িতে গিয়ে বলেন, ''আপনি বাবা? নাকি পশু? আপনার বীর্যে পশু জন্মেছে?'' দেখবেন, পরবর্তীতে এরাও নারীদের সম্মান দেবে, যদি এরা মানুষের বীর্যে জন্মে থাকে। এই সমাজ পশুদের জন্য। যে সমাজে মানুষ লিঙ্গভেদ করে সম্মান দেয়; যে সমাজে মানুষ নির্ভয়ে মানুষ আকৃতির পশুদের কাছ থেকে বাঁচতে পারে না, সে সমাজ মানুষের জন্য নয়, সে সমাজ পশুর জন্য। যতদিন পর্যন্ত এই সমাজের মানুষ অন্যায় দেখা মাত্রই প্রতিবাদ করবে না, ততদিন পর্যন্ত পশু বাড়তেই থাকবে। অনেক হয়েছে সময়।

এবার রুঁখে দাঁড়াও, মনুষ্যত্বের প্রমাণ দাও। কোনো ভয় নয়। জয় আমাদেরই হবে। হে নারী, তোমরা রুঁখে দাঁড়াও, তোমাদের অধিকার তোমরা আদায় করে নাও। যারা তোমাদের দিকে কুদৃষ্টিতে তাকাবে, তাদেরকে দেখা মাত্রই জুতো দিতে মারো, তাদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ দাও।

তোমরা জাগো। সময় হয়েছে তোমাদের জাগার। যে হাত দিয়ে প্রিয় মানুষটির মুখে হাত বুলাতে পারো, সে হাত দিয়ে তোমাদেরকেও জুতোও তুলতে হবে। মনে রেখো, এ সমাজ শুধু পুরুষের না, এ সমাজ তোমাদেরও, এ জীবন শুধু পুরুষের না, এ জীবন তোমাদেরও; এই বাঁচার অধিকার শুধু পুরুষের নয়, এই বাঁচার অধিকার তোমাদেরও। মানুষকে ভালোবাসো, আর পশুকে শিক্ষা দাও।

জয় হবেই হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।