শুক্রবার রাত ১০ টা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কম চেষ্টা করা হয়নি।
বারডেম থেকে যখন তাঁকে ল্যাবএইডে আনা হয়, তখন তাঁর অবস্থা
সংকটাপন্ন। মানুষটা হেঁটে বারডেমে গেল...অথচ ???
বুধবার সকালবেলা অর্থাৎ ২ দিন আগেই তাঁর এম আই (মাইল্ড স্ট্রোক) হয়। কিন্ত পাত্তা দেননি তিনি। বরাবরের মত খামখেয়ালি করে আরও দুটো দিন কাটিয়ে দিলেন।
ল্যাবএইডে আনার পর দেখা গেল, হার্টের পাশাপাশি তাঁর ডায়াবেটিস, কিডনি আর লিভারের সমস্যাও প্রকট। কিডনি প্রায় অচল। প্রেশার খুবই কম। সারাটা জীবন আনিয়ম করে গেছেন স্যার। শরীর তা সইবে কেন? শরীর তো যণ্ত্র মাত্র।
ঠিক-ঠাক যত্ন না নেয়াতে বিদ্রোহ করে বসলো শরীরের প্রধান অংগগুলো।
স্যারের জন্য মানুষের ভালোবাসার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমি। সকাল ৬ টা থেকে রাত ২ / ৩ টা পর্যন্ত হাসপাতালে তাদের উদ্বিগ্ন পদচারণা, ক্ষাণিক পর পর আমার কাছ থেকে সংবাদ নেয়া...
৩ টা দিন ২৪ ঘন্টা নাওয়া-খাওয়া হয়নি...
নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শিমুল ইউসুফ, আফজাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, হানিফ সংকেত, পিযুষসহ স্যারের সুজনদের খুব কাছ থেকে দেখেছি...
এতো মানুষের ভালোবাসাও হার মানলো- সর্বময়ের কাছে। শুধুমাত্র মানসিক শান্তির জন্য স্যারকে ব্যাংকক নেবার সকল আয়োজনও সম্পন্ন ছিলো। শুধু একটি ফোনের অপেক্ষা... ফোন করলেই ব্যাংকক থেকে এয়ার এম্বুলেন্স উড়াল দেবার জন্যে তৈরী ছিল... অথচ তার আগেই উড়াল দিলেন সেলিম আল দীন...অজানার পথে...
তাঁর মৃত্যুর শেষ ১০ মিনিট মাত্র ৩ ফিট দূরে দাঁড়িয়ে আমরা...
নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শহীদুজ্জামান সেলিম, আরেফিন ভাই আর আমি...
ডাক্তারদের শেষ চেষ্টা... কী হাহাকার সবার...
মানুষটার শরীর নিথর হয়ে গেল...
হে ঈশ্বর, তুমি তাঁকে ওপারে চির শান্তিতে রেখ.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।