ইমরোজ
তখনকার কথা বলিতেছি। আরে তখনকার কথা। যখন নাকি বঙ্গদেশে চলিত ভাষায় উপাখ্যান লেখা হইতো। হুম, বিশাল অপরাধ। দুইটা ধর্ম বর্তমান ছিল, একটি ধর্মের পরকীয়াকে নিয়ে গান বাজনা হইতো আর আরেকটি ধর্ম তো পেয়ে বসা।
যাকে বলে মারিয়া কাটিয়া রক্তারক্তি। যাই হোক, সেই সে আমলে বাস করিতেন একজন কবি যাহার নাম ছিলো... আচ্ছা ধরুণ একটা নাম ছিলো। তিনি কবিতা লিখিতেন, আরে হ্যা কবিতাই তো লিখিতেন।
কবিতার বিষয় বস্তু হাস্যকর ছিলো কিনা জানিনা, তবে আবৃত্তি করিতে গেলেই গরু কাছে আসিয়া কবির মুখে সার নিক্ষেপ করিতো। আরে সে এক ইতিহাস ছিলো বটে।
বঙ্গদেশে তখন দুইটা অপদার্থ নারী ছিলেন যারা প্রায়সই উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসাইয়া দিতেন। লোকে যাদের জানোয়ার বলিত। তাহাদের পোষ্য ছিলো যে কবির কথা বলিতেছি তিনি। তার মুদ্রা দোষ ছিলো, যাহাই জিজ্ঞেসা করিবেন তাহাতে এক উত্তর, "ইহা একটা বানোয়াট উদ্ভট চিন্তা"। জ্বি কবির মাথায় মগজ ছিলো বটে।
দেশের উন্নয়নের জন্য নীরবে কাজ করেছিলেন যদিও দেশটির ইতিহাস তার কাছে বানোয়াট আর উদ্ভটই ঠেকিতো।
তো একদা সে কবি মধ্যাহ্ণ ভোজনে গিয়াছিলেন নির্বাচন কমিশন নামে এক জারজ খানায়। সেখান থেকে বেড়িয়ে এসে বলেছিলেন, "ইহাও একটি বানোয়াট আর উদ্ভট চিন্তা"।
বঙ্গদেশীয় দুই নেত্রীর জেলে দিন কাটিতে কাটিতে ফুরিয়ে গেল। আর কবি প্রলাপ বকিতে বকিতেই বিদায় হইলেন।
কবরের কতিপয় মুসলিম ফেরেশতাদের উত্তরেও কী তিনি বলিয়াছিলেন নাকি, "ইহা একটা বানোয়াট উদ্ভট চিন্তা", তাহা তো আর বলিতে পারি না মশাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।