জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরি বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে তাদের উদ্বেগের কথা বললেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার কাছে লেখা চিঠিতে জন কেরি সংলাপের মাধ্যমে দুই পক্ষকে সব দলের গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধানে সরকার ও বিরোধী দল এখনো সমঝোতায় না আসায় তারা উদ্বিগ্ন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই দুই পক্ষ সংলাপে বসে সমঝোতায় আসবে এবং সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবের চিঠি সম্পর্কে সরকার ও বিরোধী দল ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত মাসে দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন এবং পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে সৃষ্ট জটিলতার গ্রন্থিমোচনে সংলাপে বসার আহ্বান জানান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে আশঙ্কা বিরাজ করছে সরকার ও বিরোধী দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে। সরকার সংবিধানের আওতায় তাদের অধীনে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। অপরপক্ষে বিরোধী দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। এ আশঙ্কা থেকে তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার ও বিরোধী দল পরবর্তী নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করলেও উভয়পক্ষ সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এমন নির্বাচনের পক্ষে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন, জনগণ তার দলকে ভোট দিলে তবেই তারা ক্ষমতায় থাকবেন। নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও উভয়পক্ষ যেহেতু সব পক্ষের অংশগ্রহণ-সংবলিত নির্বাচন চায়, সেহেতু সংলাপে বসলে সমাধান খুঁজে পাওয়া কঠিন কিছু হবে না। উভয়পক্ষ সমঝোতার পথে এলে বর্তমান সংবিধানের আওতায়ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেবে এমন নির্বাচন করা সম্ভব। এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে উভয়পক্ষ সংলাপে বসবে জাতি এমনটিই দেখতে চায়। বান কি মুন কিংবা জন কেরির আহ্বানে নয়, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ ব্যাপারে উভয়পক্ষ সুবুদ্ধির পরিচয় দেবে- এমনটিই কাম্য।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।