আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরই নাম ইনসাফ....

কষ্ট হলেও সত্য বলা বা স্বীকার করার সাহসই সবচেয়ে বড় সততা।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ জুমার নামাযের দিন। মিম্বরে উঠে দাঁড়ালেন হযরত আবু বকর (রা)। মিম্বরে দাঁড়িয়ে উট বিতরণের ঘোষণা দিলেন তিনি। এর সাথে তিনি শর্তও জুড়ে দিলেন।

শর্ত ছিল, যে উট নিতে আসবে তাকে আগে থেকেই আবু বকরের অনুমতি নিতে হবে। আবু বকরের কথা শুনে এক মহিলা তার স্বামীকে বলল, যাও, খলিফার দরবারে যাও। একটা উট হয়তো বা পেয়েও যেতে পার। স্ত্রীর কথামত লোকটি খলিফার নিকট গিয়ে হাজির হলো। কিন্তু পূর্ব অনুমতি ছাড়াই সে হযরত আবু বকরের নিকট গেল।

এতে খলিফা খুবই উত্তেজিত হলেন। লোকটি যে চরম বেয়াদব! খলিফা তার রাগ সামলাতে পারলেন না। তিনি উটের মেহার দিয়ে লোকটিকে বেশ জোরে মেরে বসলেন। তারপর তিনি আবার উট বিতরণের কাজ শুরু করলেন। উট বণ্টন শেষ হল।

এবার তিনি ঐ লোকটিকে ডেকে পাঠালেন। লোকটি তো ভয়ে ভয়ে কাঁপছিল। এবার তার যে কি খারাপ অবস্থা হবে তাই সে ভাবছে। হযরত আবুবকর তাকে বড় কোন শাস্তিই দিয়ে বসেন কিনা। এ ভয়ে লোকটার দম প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হলো।

ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে লোকটি হযরত আবু বকরের সামনে গিয়ে হাজির হলো। কিন্তু হতবাক হলো লোকটি! খলিফার কাছে গিয়ে তার সব ভয় কেটে গেল। খলিফা লোকটিকে কাছে টেনে নিলেন। তার হাতে উটের মেহার তুলে দিলেন এবং বললেন, নাও এ মেহার। এটা দিয়ে আমাকে মেরে তোমার উপর আঘাত করার প্রতিশোধ নাও।

’ পাশেই বসেছিলেন হযরত উমর (রা)। তিনি হযরত আবু বকরের দিকে তাকিয়ে বললেন, না, এটা হতে পারে না। তাতে ভবিষ্যতে সমস্যা দেখা দেবে। আপনি তো তাকে শুধু শুধু মারেন নি। বরং আপনার নির্দেশ পালন না করার জন্যই আপনি তাকে আঘাত করেছেন।

হযরত উমরের কথা শুনে আবু বকর সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। তাঁর মনে যে আল্লাহর ভয়। এ জন্য যদি তাকে আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হয়? তাই আবু বকর উমরকে উদ্দেশ্যে করে বললেন, হে উমর! তোমার কথা সত্যি। কিন্তু আখেরাতে আল্লাহ যদি এ ব্যাপারে আমাকে পাকড়াও করেন? সাম্যের মূর্ত প্রতীক হযরত আবু বকর (রা)-এর মন কতই না ইনসাফপূর্ণ ছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।