দলের যুগ্ম মহাসচিব ও তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে তারা ‘হুমকি’ বলে মনে করছেন।
“ আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, তারেক রহমানকে যে প্রক্রিয়াই হোক দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তার ওই বক্তব্য সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ও বেআইনি বলে আমরা মনে করি। ”
বুধবার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে হরতাল বিরোধী অবস্থান সমাবেশে আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসতেই হবে, সেটা যে প্রক্রিয়াতেই হোক।
আইন প্রতিমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করে মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, “তার ওই বক্তব্য একটি থ্রেট বলে আমরা মনে করি।
এর মাধ্যমে আইনপ্রতিমন্ত্রী তারেক রহমানের মৌলিক অধিকার খর্ব করতে চেয়েছেন। এতে তার কিছু হলে তার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। ”
তারেকের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরাতে গত রোববার আদালতের পরোয়ানা জারি হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন। জামিনে মুক্তি নিয়ে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি লন্ডন যান।
গত সপ্তাহে লন্ডনে বিএনপির একটি সভায় যোগ দিয়ে প্রবাস জীবনে প্রথম প্রকাশ্য রাজনৈতিক কার্যক্রমে আসেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক।
ওই সভার পর তিনি দেশে নতুন করে আলোচনায় আসেন। সরকারদলীয় নেতা ও মন্ত্রীরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার ছেলে লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। চারদলীয় জোট সরকার আমলে তারেকের ‘দুর্নীতি’র কথাও তুলতে থাকেন তারা।
আইন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, “আমাদের অনুরোধ থাকবে, তিনি অসংলগ্ন ও অপরিণামদর্শী বক্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।
তার এ রকম বক্তব্যে আমরা আইনজীবীরা লজ্জা পাই। ”
‘সংবিধান পরিপন্থী’ বক্তব্য দেয়ার জন্য কামরুল ইসলামকে ‘জাতির কাছে ক্ষমা’ চাওয়ারও আহবান জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক খোকন।
“আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে লন্ডনে গেছেন। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। ”
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে দলের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।