পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
ডিসেম্বর মাস এলেই জামাতী ছাগুদের চামড়ায় কিঞ্চিত প্রদাহ দেখা দেয় । হায় সেই ১৪ই ডিসেম্বর আবার আগত । ১৪ই ডিসেম্বর আর ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সারা পৃথিবীর কাছে প্রমানিত হয়ে আছে মানব ইতিহাসের নৃশংসতম জেনোসাইড হিসেবে । ২৫শে মার্চ যদিও বা পশ্চিম পাকিস্তানের আর্মির আকাম বলে পার পাওয়া যাইতে পারে , ১৪ই ডিসেম্বরের কলংক ভীষন ভাবে বাংলাদেশের নিজের । নিজের দেশের সবচেয়ে নোংরা মীরজাফরদের হাতে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মেরে সাফ করে ফেলার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ।
তারপর পরই ১৬ ই ডিসেম্বর । মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে এক দিকে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যার লালে হাত রাঙালো আল বদর , আল শামস ,শান্তি কমিটির মত জামায়াত ইসলামীর সহযোগী সংগঠন । আর আরেক দিকে গণ জাগরন আর সাধারন মানুষের স্বাধীনতার আকাঙ্খার কাছে পরাজিত হলো ষড়যন্ত্রকারী , নিজ দেশের নারী পুরুষের উপর বর্বরতম হামলা করা সেনাবাহিনীর ।
পাকিস্তানী আর্মিকে জলে, স্থলে বাংলার কাঁদায় কেঁচকি মাইর দিয়ে যা বুঝানোর বুঝায় দেওয়া হয়েছে ১৯৭১ এই। কিন্তু তারা কত গুলো জারজদের সেই যে বাংলাদেশের মাটিতে এতিম করে দিয়ে পায়খানা ত্যাগের মত করে ত্যাগ করে চলে গেলো , লোভী এবং বোকা মানুষদের শয়তানরা যেভাবে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে, ঠিক সেই রকম ভাবে - সেই জারজ গুলার নাম হলো জামায়াত ইসলামী , রাজাকার আর ছাত্র শিবির ।
এখন ছানা পোনা এবং মৌ লোভিদের সাথে নিয়ে , এই দেশে ক্ষমতালোভী গর্দভ রাজিনীতিবিদদের পাছা চেটে এবং আন্তর্জাতিক বেনিয়া রাষ্ট্রসরকার গুলোর বিশেষ ঘুষ খেয়ে ইহাদের আস্ফালনের মাত্রা বাড়িয়াই চলিয়াছে ।
আমি এই সামহোয়ার ইন ব্লগটাকে খুব আলাদা করে দেখি না । আপনারাও মিলিয়ে দেখুন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াত -শিবির হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিজেদের ব্যবসার কাজে ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশকে সব সময় "অস্থির" করে রাখার একটি অস্ত্র । একটা দেশে একটা চরম্পন্থী জঙ্গী দলথাকা মানে সেই দেশের ক্ষমতায় যেই থাকুক তার গলায় আর পায়ে একটা কাঁটা বিধে থাকা ।
সে না পারবে শান্তি মত দেশ চালাতে , না পারবে আন্তর্জাতিক চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে ।
বাংলাদেশ অনেক দেশের বাজার । ভবিষ্যতে তুলে ব্যবহার করার জন্য "প্রাকৃতিক গ্যাসের " সঞ্চয় । আরো অনেক দামী দামী খনিজের ডিপো । আবার চায়না আর ভারতকে পরাশক্তি হয়ে উঠার পথে নিয়ন্ত্রক ভূমি ।
এই জন্যই "বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজিকালি ইম্পর্টেন্ট" দেশ । এই দেশের ১৪ কোটি মানুষ যথেষ্ঠ কর্মঠ । ঠিক মত ৫ থেকে ১০ বছর স্বাধীন ভাবে দেশটা চলতে পারলে এই বাংলাদেশই মালয়শিয়া হয়ে উঠতে পারে । এই জন্যই ব্লগের বাইরের এবং ভিতরের ছাগুদের এত পৃষ্ঠপোষক।
বাংলাদেশ মালয়শিয়া হয়ে গেলে আমরাও মাথা নত করে কথা বলবো না ।
আমাদের যেমন ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে না । আমাদের ভূমি ব্যবহার করে অন্যদের উপর খবরদারি করা যাবে না । আবার সুদের কারবারিদের ও সমস্যা । মহাজন কি কোন দিন চায় তার খাতক এত বড়লোক হয়ে যাক যেন তার কাছে আর কোন দিন টাকা ধার নিতে না হয় ?
বাংলাদেশ অস্থির থাকলে তাই অনেকের সুবিধা হয় । একমাত্র দেশের সাধারন জনগণ ছাড়া ।
সেই রকম ব্লগটা অস্থির থাকলে অনেকের সুবিধা হয় । আর ,এই সব ছাড়াও , কিছু লোভী , বিশ্বাস ঘাতকের কান্ড কীর্তি তো আছেই । টাকার বিনিময়ে দেশ , মা আর আদর্শ বেঁচে দিতে এদের জুড়ি নাই ।
সেই রকম একজন মতিউর রহমান নিজামী । রাষ্ট্রীয় নির্বাচনের আগে আগে দেওয়া রেডিওতে তার আস্ফালন ছিলো , " কয়টা সিট জিতবো মানে ! আমরা ৩০০ সিটেই জিতবো ।
বরং জিজ্ঞেস করেন , রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমরা কাকে ভাবছি। " তারপর অবশ্য সেই নির্বাচনে যথারীতি জামাতের ভরাডুবি হয় । আর নারী নেতৃত্বের তীব্র বিরোধী জামায়াত পরের দিনই নারী নেত্রীর পদলেহনে ব্যস্ত হইয়া যায় ।
ব্লগের হাগুদানাদের আস্ফালন শুনে তাই বিচলিত হবেন না । তাহাদের প্রিয় ঘাতক নিজামীর মত তারাও বিভিন্ন নিকে চিল্লায় ।
বুঝাতে চায় এই ব্লগ তারা দখল করে নিবে । নিজামী রাম ছাগুর যেমন রাষ্ট্রপতি আঙুর খাওয়া হয় নাই , বরং গত ৩৬ বছর ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির পতিতা হয়েই ব্যবহৃত হয়ে আসছে , সেই রকম ব্লগের হাগুদানাদের অবস্থান ঐ ভাগাড় পর্যন্তই । মাঝে মাঝে ( যেমন ডিসেম্বর এলে ) একটু বেশি বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায় । এই সব হাগুদানাদের তাচ্ছিল্যের সাথে নর্দমায় পাঠিয়ে দিন।
জামাতী পেইড ব্লগারদের ক্ষমতা হলো রাস্তার ভাসমান পতিতাদের মত ।
রাস্তাঘাটে নিজেদের বিক্রি করে বলে আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বলে চোখে পড়ে বেশি । দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য একটু বেশিই চেষ্টা করতে হয় । নাইলে ভিখারীদের সাথে তাদের পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে যায় । তা, বহুত চিল্লা পাল্লা করলেও , এরা সংখ্যায় খুবই কম । আর রাস্তায় বইসা গন্ধ ছড়াইলেও , রাস্তার মালিকানা কিন্তু পথিকের আর রাষ্ট্রের ।
রাস্তায় পড়ে থাকা হাগুদানাদের নয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।