কেন লিখি?
লিখে মুক্ত হই।
কেন লিখি? না লিখে?
আপাদমস্তক-খুন !
কেন লিখি?
লিখে লিখে কাঁদি।
কেন লিখি আমি? কেনো রে মন-
আসলেই কেন লিখি?
কাগজের বুকে কল্প একে মুক্ত হই মনের যাবতীয় ভার,
যাযাবর জীবন ছুটে চলেছে, বছর থেকে যুগে,যুগ থেকে জয়ন্তীতে,
কত পথে,কত মোড়ে
ফেলে এসেছে কত রঙ,কত কথা!
কিছু কিছু যেন তার,
সবুজ বুকে গহীন নীলার
নিরঝিরঝির হাওয়া,
আজীবন তারা সুখের দারু,
তৃপ্তির ফল মেওয়া।
অথচ বাকি গুলো আর ?
যেন একদল নির্মম-নির্দয় হুলিগান
একদল খুনি ডাকাত
রক্তের গন্ধে উদভ্রান্ত একদল প্রিডেটর, হঠাৎ
কোন রাতের সুযোগে অকথ্যভাষায় গালাগাল করতে করতে
সু-ঊচ্চ সিঁড়ির মাথা থেকে চড়-থাপ্পর আর বেয়নেট খুচে
টেনে হিঁচড়ে নামাতে থাকে আমাকে,
চুলের মুঠি ধরে মাথাটা বারংবার বাড়ি দেয় কংক্রীটের দেয়ালে
ভেংচে যায় আমার মুখ, চোখ,
মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর চড়ে বসে,
হাতে নেয় সুতীক্ষন ধারালো চাকু ।
আমার সকল চিৎকার –অনুনয়-আসহায়ত্ব উপেক্ষা করে
একের পর এক গায়ের জোড়ে
বসাতে থাকে আমার বুকে চোখে যখন যেখানে পারে।
উহু…হু,…মাগো, ……মা…আ আ ,
বাঁচাও মা- বাঁচাও বলে কাঁদি।
তবুও ‘রক্ষা নাই শয়তান’ বলে দ্বিগুন উৎসাহে উক্ষিপ্ত ক্রোধে
ঝাপিয়ে পড়ে আবার- কেউ রক্ষা করতে এল না বলে,
আহা…হা…আ…
আমার আপাদমস্তক খুন হতে চলল।
বেজন্মা,ইতর,বদমাশ। বলে দুঃখে
গালি দেই কাতর,অসহ্য ধুকে।
কিন্তু কাকে? কে ওরা?
ওরা যে এই
পিড়ীত জীবনেরই বাই-প্রোডাক্ট,
অবুদ্ধি অনাস্থা অযোগ্য-অসফলতা , কিংবা
অকালপক্ক রিপুর রাসায়নিক বিক্রিয়ারই ফসল।
ওরা
বেপরোয়া ,ওরা ধ্বংসি ,ওরা আমাকে ছাড়বে?
এত সহজে?
মুক্তির সে আর্তনাদ আজ শোনার নেই যে কেউ
আমার নেই সকাল-
আমার নেই সন্ধ্যা ,
কোথায় যাবো? কাহারে শুধাবো?
তবে বল্লম লই, হাতে ধরা কলম
অথবা আঙ্গুল কীবোর্ডে বাজে,আজ
বন্দীব শাদা সফেদ কাগজে
নতুবা যন্ত্রের ভাঁজে
আজন্ম চিৎকার কেউ রবে না শোনার
রবে শুধু চির সুখের স্মৃতির কুহক বুকের খাঁজে ।
তাই তো আমি আজ লিখতে বসেছি
ঊম্মনা উল্লাসে,
কতটা বছর গত করে চির,
মুক্তির অভিলাষে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।