আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
রাত ১২.০০ টা ১৪ ই ডিসেম্বর ২০০৭, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস। ৩৬ বছর পূর্বে এইদিনে বাংলার কৃতিসন্তানদের হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র হিসেবে বলছি, আমাদের জন্য এদিন আজ আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন সেই কৃতি সন্তানদের অনেকেই হয়তো এই সহস্রাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে পেতে পারতাম। তাদের চরনস্পর্শে ধন্য, আমাদের প্রিয় এই শিক্ষাঙ্গনকে হয়ত বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে দেখতাম (যদিও, কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক আমি তাই মনে করি)।
হয়ত, তাদেরই কারো কারো সান্নিধ্যে গড়তে পারতাম নিজ জীবন দর্শন। তাদের দেখানো পথে হয়ত, নিজ যোগ্যতাকে দেশের কাজে সঠিক পথে লাগাতে সক্ষম হতাম।
যদিও এই ১৪ ডিসেম্বরকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস হিসেবে পালন করি কিন্তু ১৯৭১ এর সেই ভয়াল মার্চেই নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা (ইংরেজী), অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব (দর্শন), ড. ফজলুর রহমান, অধ্যাপক মুহম্মদ মুকতাদির, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান), অধ্যাপক মুনিম (ইংরেজী), অধ্যাপক এ আর খান খাদিম (গনিত),প্রমুখ। অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের দুজনেরই নিজ নিজ ধর্মে নিষ্ঠা ছিল।
মৃত্যুর পর মিশে গিয়েছিল দুজনের রক্ত। সে রক্তে হিন্দুত্ব বা মুসলমানত্বের কোন চিহ্ন ছিল না। চিহ্ন ছিল শুধু বাংলার প্রতি আনুগত্যের। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেবকেও হত্যা করা হয় তার পালক মুসলমান মেয়ের স্বামীর সাথে। হিন্দু মুসলমানের রক্তের ধারা মিশে যায়।
আসুন আজকের এই দিনটি আমরা কল্পনা করি সেই সব জ্ঞানী, দেশপ্রেমিক সন্তানদের উপস্থিতিতে আজকের বাংলাদেশ কেমন হতে পারত। তাদের শুন্যস্থান পূর্ণ করবার দায়িত্ব আমাদের। তাদের দেশের জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস আমাদের জানতে হবে, সেই সাথে সেই সব দেশদ্রোহি রাজাকার আলবদরদের ঘৃণা ও উল্লেখযোগ্য শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত রেখে যেতে হবে।
~বিবর্তনবাদী~
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।