আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম রসময় গুপ্ত পঠনঃ আরব্য রজনীর গল্প

পাগলা ছেলের... আউলা ব্লগ... যা বুঝি তাই লিখি... মাথা কম ঘামাই

ছোট বেলা থেকেই অনেক বই-পুস্তক পড়ার অভ্যেস ছিলো। এখন বড় হয়ে জানি না কি হয়েছে। কমে গেছে অভ্যেসটা। ক্লাস ৪ এ থাকতে বি,সা,কে র সদস্য হয়েছিলাম। দারূণ উপভোগ করতাম প্রতিটা শুক্রবার।

ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর গাড়ী আসতো ব্যাস আমিও আর বাসায় থাকতাম না চলে যেতাম। অনেকক্ষন বই ঘাটাঘাটি করে তারপরে বই আনতাম। তখন কি যে ভালো লাগতো বই ঘাটতে। এখনও লাগে বই না পড়লেও এখনও লাইব্রেরী পেলে পুরোটা ঘেটে দেখি। তো এই ঘাটা ঘাটি করতে গিয়েই একদিন গাড়ির ভিতরে ঢুকে গেলাম সব পুরাতন বই গুলা... এক একটার সাইজ মাশাল্লাহ, সেইরকম।

বেছে বেছে ঠিক করলাম আজকে এইরকম একটা বই নিবো। শেষ মেশ বাসায় ঢুকেছিলাম সেদিন আরব্য রজনীর গল্পের বই নিয়ে। পুরো কালেকশন। খুব মজা করে রূপকথার বই পড়তাম তখন। আমিও ভেবেছি এইখানে ১০০০ টা রূপকথা আছে।

কারণ বইটার নামই ছিলো "১০০১ আরব্য রজনীর গল্প"। যাই হোক আমি আর আমার মেঝো বোন মহানন্দে বই পড়ছি। কিন্তু মাঝামাঝি যাওয়ার পরে আমার যা অবস্থা হল তা আর কি বলব। লজ্জায় পারলে আমি পালিয়ে যেতাম বাসা থেকে। যে সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা ছিলো বইটাতে আলহামদুলিল্লাহ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

ছবির সাথে সমান তালে ছিলো কাজ-কর্মের বর্ণনা। রাজা বাদশাহ গন তাদের দাসদের সাথে কি ভাবে অবসর সময় কাটাতেন এই বই না পড়লে মনে হয় কেউ জানতে পারবে না। আমি বাধ্য হয়ে একসাথে পড়া বন্ধ করলাম। এর পরের ঘটনা সেদিন জানলাম। আমার বড় ভাই অনেক বই সংগ্রহ করে, এইটা একটা স্বভাব উনার।

পুরান বইয়ের দিকেই তার বেশী ঝোক। তাই সেদিন ভাইয়া পুরান পল্টন গিয়ে নিয়ে আসলো সেই ঐতিহাসিক বই। তবে ভাগ্য ভালো এইখানে ছবি নাই। শুধু লেখা। আমার মত ভুল আমার ছোট বোন করার জন্য এগিয়ে গেলে আমি বাধা দিলাম।

পাশ থেকে মেঝো আপু বললো তুই মনে হয় পড়িস নি? আমি কি ভুলে গেছি? আমি ও পালটা ঢিল ছুড়লাম তুমিও তো পড়েছ। ও বললো হ্যাঁ পড়েছি তাতে কি হইছে? আমিও চিন্তা করলাম আমি যদি লুকিয়ে পুরো বই শেষ করতে পারি তাহলে আপুও নিশ্চয়ই তাই করেছিলো, ছোট বোন ও কি আর বাদ যাবে? শুরু করেছে কবে শেষ করবে কে জানে?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৮৯ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।