যেতে চাও যাবে, আকাশও দিগন্তে বাঁধা, কোথায় পালাবে!
Rangs ভবনের ফ্লোর ধসে পড়েছে, ৩ জন নির্মান শ্রমিক নিহত, ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েছেন শতাধিক ঘুমন্ত শ্রমিক, যাদের অনেকেরই ঘুম আর কোনদিন ভাঙবে কিনা জানিনা। প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা যারা কাজ করছিলেন তাদের বর্ণনানুযায়ী মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে।
কিন্তু কেন এই মৃত্যু? কেন বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে আধুনিক প্রযুক্তির বদলে হাতুরি - শাবল দিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো Rangs ভবনের মত বহুতল একটি বিল্ডিং? এই মান্ধাতা আমলের পদ্ধতির ঝুকির ব্যাপারে সরকারের উপর মহলে আগেই জানানোর পরেও কেন তড়িঘরি করে হাতুরি - শাবলের সিদ্ধান্তেই অনড় রইল সংশ্লিষ্ট মহল? এমনকি মালিকপক্ষ পর্যন্ত ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন।
২০০৭ সালে এসে পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম একটি বহুতল ভবন হাতুরি শাবল দিয়ে ভাঙার কথা চিন্তাও করা যায়না। এতবড় একটি স্বাস্থ্যঝুকি সম্পন্ন সিদ্ধান্তকে কোন বিবেচনায় ছাড়পত্র দেওয়া হলো।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানাটা দরকার। এই খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষগুলির মৃত্যু বাংলাদেশে আর কতদিন এত সস্তা থাকবে? এই মৃত্যুর দায়ভার সরকার ও সেনাবাহিনীকে নিতেই হবে। যেহেতু সরকার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী তাই এর দায়ভার তারা অস্বীকার করতে পারেনা। একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এই হঠকারী সিদ্ধান্তের পিছনের মানুষগুলিকে চিন্হিত করা দরকার। হোক তার পোষাক জলপাই বা অন্য কোন রং এর, মানুষের মৃত্যু নিয়ে ছিনিমিনি খেলার শাস্তি পেতেই হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।