মতিউর রহমানের, জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। জাহানারা ইমামের ৭১ র দিন গুলিতে উল্লেখ আচে, পাক হানাদাররা কিভাবে মতিউর রহমানের শাহাদত বরনকে কালিমা লিপ্ত করসে। সেখানে সেই শিক্ষানবীস পাকিস্তানি পাইলট নিশানায় পাকিস্তান খেতাব পাইসিল আর আমাদের বীরশ্রেষ্টকে গাদ্দার, ভারতীয় চর, কুকুর ইত্যাদি সম্বোধনে ডাকা হইসে। মা, জাহানারা ইমাম বলছিলেন যে কোনদিন যদি দেশ স্বাধিন হয় আমরা মতিউরকে তার আত্মদানের প্রতিদান দিমু।
মা আমার একটা বিষয় উল্লেখ করেনাই।
সেটা হইল জামাতের ছাত্র সংঘের নেতা নিজামী একটা টেলিগ্রাম পাঠাইসিলেন সে পাক শিক্ষা নবিশ পাইলটের বাপের কাছে, সে টেলিগ্রামে তিনি উল্লেখ করসিলেন মতিউর কেণ বিশ্বাসঘাতক আর কাফির আর পাকিস্তানি পাইলট কেমতে ইসলামের সিপাহী। একই বক্তব্য এ নিজামী বায়তুল মোকারমে দিসিল। স্বাধিনতার ৩৭ বছর পরে আমরা মতিউর রহমানরে দেশে ফিরায়ে আনতে পারসি। কিন্তু বেজন্মা রাজনীতিক গুলানের জন্য সেই নিজামী সে আমগো বীরশ্রেষ্টরে গাদ্দার কইসিল সে পতাকা উড়ায়। আমগো শহীদ আমগো কাছে বিচার চায়।
সুযোগ্য মতিউর সুযোগ্যা স্ত্রী আমাদের কাছে বিচার চান, তিনি চান আপনারা নিজামী, মুজাহিদের বিচার করেন। তিনি বলছেন সরকারের যা প্রমান লাগবে তার মত শহীদের স্ত্রীরা দিতে প্রস্তুত।
শহীদের সর্বোচ্চ দান দিয়া গেসেন যাতে লাল সবুজ পতাকা উড়াইতে পারি। আজকা তার আত্মা ডাক দিয়া গেলো। আমরা কি জাগমু নাকি এবার ঘুমামু আর তার আত্মারে কষ্ট দিমু।
জাগে বাহে কোনঠে সবাই। শহিদের আত্মা রক্তের হিসাব চায়
উতসর্গ- দোস্ত এস্কিমোরে । কঠিন লড়াকু মানুষ, লড়াইয়ে সে হারেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।