জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখতে চাই। গতানুগতিকতার গন্ডি থেকে মুক্তি চাই। এতে হয়তো শুনতে হবে অনেক অপমানের বাণী। ভয় করি না।
আজ সেই কালিমাময় দিন।
২৭ শে নভেম্বর। ১৯৯০ সালের এই দিনে সৈরাচার এরশাদ সরকারের বাহিনীর বুলেটের আঘাতে ডাঃ মিলনের প্রাণ প্রদীপ নিভে গিয়েছিল চিরতরে। মিলনের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে নব্বইয়ের সৈরাচার বিরোধী গণ- আন্দোলন রূপ নিয়েছিল গণ-অভু্যত্থানে। পতন ঘটেছিল এরশাদ সরকারের। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য তার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়।
মিলনের সপ্ন ছিল একটি একটি শোষণ বিরোধী সমাজের। যেই সমাজে সকলের কল্যাণের জন্য একটি জাতীয় সাস্থ্য নীতি থাকবে। সমাজের দরিদ্র ,অবহেলিত নিপীড়িত মানুষের কাছে সাস্থ্য সেবা পৌছে দেবে বলে তার ভাবনা ছিল। এই ছিল তার অংগীকার।
মিলন ছিলেন তত্কালীন বি,এম,এ অর্থাৎ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব।
সৈরাচার এরশাদ সরকার যখন একটি গণ বিরোধী সাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে,তখন মিলন ও ডাঃমাজেদের নেতৃতের বিএমএ এর প্রতিবাদ করে। বিএমএ এর দাবি ছিল একটি গণমুখী সাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা। গরীব ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী যেন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবে।
সামরিক সরকারের সাস্থ্য নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করায় তাকে ভোগ করতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। তাকে চাকরি ক্ষেত্রে পদে পদে নির্যাতন করা হয়েছে।
এক সময় তাকে করা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে সামরিক সরকার তার চাকরি আবার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মিলন ছিলেন তার চিন্তা ধারায় অনড়। নিজের সার্থসিদ্ধির কথা তিনি কখনও ভাবেন নি। শত প্রলোভন তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন নিষ্ঠার সাথে।
আজ আমরা সবাই জানি গণতন্ত্রের জন্য মিলনের ভূমিকার কথা। নূর হোসেনের জন্য নূর হোসেন স্কোয়ার নির্মাণ করা হলেও তার স্মৃতি রক্ষার্থে কোন স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। মিলন হত্যার বিচার আজও করা হয়নি। হয়নি কোন সুষ্ঠু তদন্তও
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।