যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
সরকার অবশেষে বিএনপি অফিস খুলে দিয়েছে । শুধু খুলেই দেয়নি সেখানে সংষ্কার পন্থী তথা সরকারের সমর্থনপুষ্ট বিএনপির সংস্কারবাদী অংশকে পুলিশ, রাব এবং বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর সহযোগে দখল করে দিয়েছে । সরকারের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ।
একই সাথে সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনীহাও প্রশ্ন সৃষ্টি করছে ।
২০০১ সালে একটি জনপ্রিয় কার্টুন আকা হয়ছিল বিএনপিকে নিয়ে , কার ধানকে খায় !! তাই যেন ক্রমাগত সত্য হয়ে উঠছে । সরকারের বিএনপি মানে সংস্কার পন্থী বিএনপি জামাতীদের ব্যাপারে মন্তব্য করতে আগ্রহী নয় এমনকি তারা জোটেও থাকতে চায় জামাতকে নিয়েই । এই অংশ থেকে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপি গঠন মানে বিএনপি দুর্বল বানানো । আর জামাতীদের জন্য যেন তাই চাই ।
একটি দুর্বল বিএনপি জামাতীদের আকাংখা যে বিএনপিকে তারা চালিয়ে নেবে ঢাল হিসেবে ।
এই সরকার প্রথম থেকেই জামাতীদের ব্যাপারে নমনীয় । জামাতকে দুর্নীতি থেকে রেহাই দান, বর্তমানে যখন যুদ্ধাপরাধ বিষয় তুঙ্গে তখন সরকারের নিস্প্রহ আচারণ সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারের জামাত প্রেম চোখে পড়ার মতন। তবে কি এই সরকারের এসাইনমেন্ট জামাতীদের ক্ষমতায় আনা ??জামাতীরা বিএনপিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনে আসতে চায় । এবং সেই নির্বাচন যে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত হবে তা বলাই বাহুল্য ।
জামাতীদের সাথে সেনাপ্রধান কিংবা সেনাবাহিনীর সম্পর্ক পরিষ্কার । আর এদশের সেনাবাহিনীর দেশপ্রেম অতুলনীয় । তারা দেশের জন্য নির্বাচনের ফলাফলও পরিবর্তন করতে পারে অতীত ইতিহাস আমাদের তাই বলে । তাছাড়া জামাতীরা একর পর এক দেশের সংবিধান বিরোধী মন্তব্য , বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে সরকারের সেদিকে খেয়াল নেই । তারা ব্যস্ত হাসিনা খালেদা মাইন্যাস করতে ।
এই সরকার হাসিনা খালেদা বাদে আওয়ামী লীগ বিএনপি চায় । কিন্তু কেন ?? দুর্নীতি মুক্ত দল তাদের চাওয়া কিন্তু নয় । তাদের চাওয়া হাসিনা খালেদা মুক্ত রাজনীতি । আবার এটাও খুব স্পষ্ট যে হাসিনা খালেদাকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক দল গুলো ভিত্তিহীন । প্রতিটি দলই তখন নানা ধারায় বিভক্ত হবে ।
সেটা দিবালোকের মতন পরিষ্কার । তবে কি দুর্বল আওয়ামী লীগ , দুর্বল বিএনপিই সরকারের প্রয়োজন ?? যদি তাই হয় তবে কার স্বার্থে ?? সরকারের সকল সংস্কারের উর্দ্ধ্বে থাকা জামাতীদের জন্য ?? কেননা দুর্বল রাজনৈতিক দলের ফায়দা নিতে পারে জামাতীরা অথবা আর্মি । কিন্তু জামাতীদের ধরা ছোয়ার বাহিরে রাখা কিন্তু স্বভাবতই বুঝিয়ে দেয় সরকার তাদের জন্য , তাদের পক্ষেই ।
তাই এখনও সময় আছে দেশ রক্ষার জামাতীদের না বলুন । জামাতীরা জনগনের রায়ে কোনদিন ক্ষমতায় আসবে না ।
সেটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট । তাই ষড়যন্ত্রের পথ ছাড়া ক্ষমতায় আসার তাদের আর কোন পথ নেই । জামাতীদের যেকোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।