আসুন আমরা ভন্ডমুক্ত সমাজ গড়ি। ভন্ডরা বন্ধু হলেও পরিত্যাজ্য। এরা সমাজের বিষাক্ত কীট্!
***(আমার এই লেখা পড়ে কোন ভাল মানুষ বিভ্রান্ত হবেন না। আমার ক্ষোভ কোন দাড়ি-টুপিওয়ালার প্রতি নয়, যারা এগুলোকে ব্যবহার করে ভন্ডামী করে তাদের প্রতি। কেউ আবার হয়ত আমাকে মুরতাদ ঘোষনা করে বসতে পারেন! গতকাল কেউ কেউ আমাকে রাজাকার বলেছেন।
তাতেও আমি আপস করব না। আমি ভন্ডমুক্ত সমাজ চাই )। ***
সিডনীতে কিছু বন্ধুর সাথে আমার প্রায়ই একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়,আর তা হল ভন্ডামী । কেউ পক্ষে কেউ বা বিপক্ষে অবস্থান নেয়। আমি কখনো ভন্ডদের সহ্য করতে পারিনা।
এদের সাথে আমার কোন আপস নেই। এরা সমাজের দূষ্ট ক্ষত। এরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে কিন্তু কাজ করে সব তিক্ত ও বিস্বাদ ! এরা কোথাও সূই হয়ে ঢুকলে ফাল হয়ে বের হয়। এদের থেকে সাবধান!
আমার এক শুভাকান্খি প্রায়ই প্রশ্ন করে, আপনি ভন্ড বলতে কাদের বুঝচ্ছেন? আমি বলি, ভন্ড হচ্ছে তারা যারা মুখে এক কথা বলে, যা তারা বিশ্বাস করেনা, তাদের অন্তরে থাকে আরেক বিশ্বাস এবং তারা করে সম্পুর্ন অন্যকাজ মানে ৩৬০ ডিগ্রি উল্টা আকাম। যাদের কথা আর কাজে কোন মিল নাই তারাই ভন্ড।
আমার সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ যারা ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী করে অর্থ্যাত্ত মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি,চোখে সুরমা,গায়ে আতরের সুঘ্রান,নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যাওয়া মানুষকে নিয়ে মানে যাদের আউটফিট সাচ্চা মুসলমানের বাচ্চার মতো কিন্তু এরাই আবার চুরির দায়ে, ধর্ষনের অপরাধে( আজকে দেখলাম জামাতের এক রোকনকে অপকর্মের দায়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ), সমকামিতার দায়ে ( মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু হুজুর বাচ্চা ছেলেদের সেক্সুয়ালি এবিউজ করে ) দোষী সাব্যস্থ হয়। এমন ঘটনা ঘটছে ছোট ছোট ফুলের মত বাচ্চা মেয়েরা কোরান শিক্ষা নিতে গিয়েছে হুজুরের কাছে মসজিদে ,তাদেরকেও হুজুর নামের ঐ নরপশু ধর্ষন করতে কুন্ঠাবোধ করে নাই।
যারা ধর্ম নিয়ে রাজনিতী করে, আল্লাহর শাষন প্রতিষ্ঠা করতে চায়, মহিলাদের পর্দা করাতে চায়, সেই তারাই বেপর্দা অন্যদলের ফ্যশনেবল মহিলা লিডারদের সাথে বৈঠক করতে,বেপর্দা আওরাতদের সাথে রাজপথে মিছিল করতে, ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে ছাড়েনা ,তারাই আমার চোখে ভন্ড। আর এসবকেই আমার শুধু ক্ষমতা নামক মধুর হাড়ির স্বাদ নেবার জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের ভন্ডামী বলে মনে হয়।
'৭১ এ ইসলাম সেবার নামে এদেশর ৩০ লক্ষ মানুষ, ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত নিতে যাদের বুক একটু কাপেনি ,তারা তো ভন্ডের চেয়েও নিম্ন মানের।
ধিক্ ওদের। ইসলাম কি মানুষ হত্যার শিক্ষা দেয়?
আমার ঐ বন্ধু আমাকে উত্তর দেয় ,আপনি তো কারও এক কাজের জন্য তাকে ভন্ড বলতে পারেন না। তার মতে আপনার ভালো কাজের জন্য মুল্যায়ন হবে ,আবার খারাপ কাজের জন্যও হবে। যেটার ব্যালেন্স বেশী সেটার নাকি সে পুরষ্কার পাবে। তার মানে কি এই দাড়ায় , ধর্ষন, খুন, চুরি, কিংবা ঘুষ খেয়েও যদি আপনি সারাদিন আল্লাহ আল্লাহ করেন তবে আপনি পার পায়ে যাবেন।
প্যারালাললি আকাম করবেন আবার ভালো কাম করবেন। কি অদ্ভুত এ যুক্তি!! ইসলাম কে নিজের স্বার্থে কাজে লাগানোর কি নিম্নমানের প্রচেষ্টা !!
আমি বলি ভন্ডদের উদ্দ্যস্যে (বন্ধুকে নয়,কারন এটা তার যুক্তি),আরে বেটা তুই নামাজ পড়ে পড়ে কপালে দাগ পড়াইয়া ফেললি ,কিন্তু রাস্তায় মাইয়া দেখলে ঠিকই তুই তার বুবজ আর বাটের দিকে তাকালি, দাড়ি রাইখা ঘুষ খাইলি, হুজুর হইয়া ধর্ষন করলি,তাইলে তোর দাড়ি টুপির মর্যাদা তুই কই রাখলি? তুই তো ইসলামকে আরো কুলষিত করলি, ইসলামরে তো তোরা ডুবালি। তোদের মত ভন্ডদের জন্যই এই প্রবাসে (আসলে সারা বিশ্বে) মুসলমানদের অনেক সমস্যা ফেইস করতে হয়।
আমি বলি , আমি নামাজ পড়িনা, দাড়ি টুপি আমার নাই কিন্তু ইসলামকে আমি তোদের মতো কু্লষিতও করিনা। এ্যাজ এ ম্যান হিসাবে এই ভন্ডদের চেয়ে আমরা ভালো।
কারন আগে ভালো মানুষ হও পরে ধর্ম। আবার অনেকে ধার্মিক হয়েও খুব ভালো মানুষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।