এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ
টেকনোলজিতে বাংলাদেশিরা নাকি এমনিতেই একটু পিছিয়ে। তার ওপর ঢাকায় আটকে যাওয়া জীবনে যতোটা টেকনোলজিতে ট্রান্সফার হয়েছে আবেগ, তথাকথিত হারে অতোটা এগিয়ে নেই বাংলাদেশ। তবে এ ভার্চুয়াল আড্ডায় জড়ো হয় প্রবাসী তরুণ প্রজন্মও। সিটিজেন থেকে নেটিজেন হয়ে উঠছি আমরা। দমবদ্ধ জীবনে যখন নো হ্যোয়ার টু রান, তখনও অনলাইনে বসে আছে কমপক্ষে পঞ্চাশ জন।
স্বভাবজাত কাঁদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত কেউ কেউ, কেউ কেউ মত্ত তখন গভীর আড্ডায়। একের পর এক বিষয় উঠে আসে। বিস্তর আলোচনা। মন্তব্য চালাচালি, গালাগালি, সবই হয় এখানে। কেউ আসে পরিচয় গোপন করে, তবে প্রতিশ্রুতিশীল লেখকরা নিজের নাম নিয়েই এসেছেন সামহোয়্যার ইনে।
ফকির ইলিয়াস, ব্রাত্য রাইসু, মুজিব মেহদী, মাহবুব মোর্শেদসহ অনেক তরুণের নাম।
এখনতো তরুণরা ব্লগে লেখে, বুড়োরা দৈনিকে... আজিজ মার্কেটের লেখক আড্ডায়ও শোনা গেছে এ কথা। ২০০৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ ব্লগের যাত্রা শুরু। ৮ হাজারেরও বেশি রেজিস্টার্ড ইউজার, ৯০টি দেশ থেকে এ ব্লগে আসে বাঙালিরা। ইন্টারনেটের বদৌলতে সীমান্ত উপেক্ষা করে চলে ভাব বিনিময়।
প্রতি মাসে সর্বমোট হিট ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
ছাপাযোগ্য লেখায় লেখক নিজেই এডিটেড হয়ে যান। চরম মাত্রায় চলে সেলফ সেন্সরশিপ। ব্লগে কিছুটা প্রশস্ত জায়গা। অতোটা নজরদারি নেই।
যে যেভাবে পারছে, যা খুশি লিখছে। এরই মধ্য থেকে পাঠক ছেকে নিচ্ছে তার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন, চেতনে অবচেতনে। লেখকের সঙ্গে শেয়ার করছেন বিষয়টি, কমেন্ট লিখে পাঠাচ্ছেন।
বিদেশি বেনিয়ারাই বাংলায় ব্লগ এনেছেন। নরওয়ের সফটওয়্যার কোম্পানি সামহোয়্যারইন।
এদেরই বাংলা ব্লগিং সাইট সামহোয়্যারইনব্লগ.নেট। ইন্টারনেটেই যাদের বুঁদ হয়ে থাকতে হয় সারাদিন, তারা একটু জিরিয়ে যান এ ব্লগে এসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।