আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দি রিভার অফ লস্ট ফুট স্টেপস : হিস্টরিজ অফ বার্মা - উইলিয়াম গৃমস (পর্ব ২)

বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে

কিছু ইতিহাস, কিছু স্মৃতিকথা, কিছু বাদানুবাদ এবং একটি ক্ষুদ্র ভ্রমণকাহিনী নিয়ে দি রিভার অফ লস্ট ফুট স্টেপস লেখা হয়েছে। শুরুতেই সব সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮৮৫ সালের রয়াল সাম্রাজ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং বৃটিশ শাসনের সময় মিয়ানমারে শোষণ সব কিছুই আছে বইটিতে। বৈশিষ্ট্যসূচকভাবে মিয়ানমারে কখনোই সাম্রাজ্যের স্বপ্নকে নিঃশেষ করে দেয়ার প্রধান কুশীলব ছিল না। এটি ছিল একটি সাইড শোর মতো, একটি অনুচিন্তা এবং ভৌগোলিক কারণে নিয়তি নির্ধারিত ইনডিয়া অথবা চায়নার পাদটীকাস্বরূপ।

মিয়ানমার দুরাবস্থাকে বলা যায় বর্তমান সময়ের একটি নিম। এর অদ্ভুত ইমেজ ও একটি স্বপ্নালু বিরাণ ভূমি রয়েছে। সে সঙ্গে এটি একটি সাধারণ বৌদ্ধ দেশ। কিছুটা সুসময় হারানো এবং কিছুটা বিচ্ছিন্ন। বৈদেশিক নীতির সঙ্কটের ক্ষেত্রে অদ্ভুত অবস্থান দেশটির’ - এমনটাই লিখেছেন মি. থান্ট।

তিনি ১৯৮৮ সালে ডেমক্রেসি মুভমেন্টের প্রতি আন্তর্জাতিক সাড়াকে তুলে ধরেছেন বইয়ে। কিন্তু উদ্ধৃত কারণটি গত কয়েক শতাব্দীর যে কোনো সময়ের বার্মিজ ইভেন্টের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায়। নিশ্চিতভাবে বার্মিজরা সব সময়ই বিষয়গুলোকে ভিন্নভাবে দেখে। থান্ট বৃটিশ শাসনের পরবর্তী পর্যায়ের দৃষ্টিতে আলোচনা করে কেবল তাদের ইতিহাসটিই বলেছেন। হয়তো এ আশায় যে, এটি বার্মার বর্তমান দুর্দশাকে তুলে ধরবে।

থান্ট ক্যামবৃজে ঊনিশ শতাব্দীর মিয়ানমারের ইতিহাস বিষয়ে ডক্টরাল গবেষণা করেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই পেছনের গল্পগুলো ভালোভাবে বলেননি। তার এই উপাখ্যানটি এলোমেলো এবং অনেক সময় একে অনুসরণ করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়ে। এটি কর্তব্যপরায়ণতাকে অনুভব করতে বলছে এবং কখনোই সত্যিকার অর্থে বৃটিশদের পুনঃপ্রবেশের গতিবিধি নিয়ে কথা বলেনি। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বের হয়ে এসেছে।

বার্মিজরা এক সময় বর্তমান সময়ের লাওস এবং থাইল্যান্ড জয় করে নিয়েছিল। সেটি ছিল ষোল শতাব্দীতে। তারা নিজেদের গ্রেট শাসক জাতি মনে করে এবং মিলিটারি এ জাতির গর্বের সূত্র। লেখক : থান্ট মিয়ান্ট উ প্রকাশক : ফারার, স্ট্রস অ্যান্ড গিরোক্স (চলবে) অনুবাদ : একরামুল হক শামীম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।