কেএসআমীন ব্লগ
রেল কর্তৃপক্ষ কমলাপুর থেকে টংগী পর্যন্ত নতুন ৭টি ট্রেন চালু করছে। খুশীর খবর নিশ্চয়ই... কিন্তু দুঃসংবাদ এখানে যে, লেবেল ক্রসিং গুলো বার বার বন্ধ হওয়ায় ট্রাফিক সিস্টেমের কী অবস্থা হবে একবার কেউ ভেবে দেখেছেন কি?
এমনিতেই পানির চেয়ে সস্তা সিএনজি'র কারণে রাস্তায় রাস্তায় লম্বা গাড়ির লাইন ট্রাফিক জ্যামের নতুন কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এর উপর রেলক্রসিংগুলো যদি আরও বেশী সময় বন্ধ থাকে, তখন আমরা যারা ৯০% মানুষ সড়ক পথে চলি তাদের দিকটা কি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
রেলক্রসিং এর উপর সরকার স্বাধীনতার ৩৬ বছরে ঢাকা শহরে একটিও গাড়ি চলার ওভারব্রীজ স্থাপন করতে পারলো না। অথচ চট্টগ্রামে স্বাধীনতার আগে থেকেই দেওয়ানহাটে ওভারব্রীজ রয়েছে।
আমাদের দেশে কি একজনও নগর পরিকল্পনাবিদ নেই? যোগাযোগ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন...
টংগী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ লাইন স্থাপন করায় এই পথে রেল যোগাযোগ আরও বাড়বে বলেই ধারনা।
আমরা ওভারব্রীজও করতে পারবো না, আবার টংগী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেললাইনকে আন্ডারগ্রাউন্ডও করতে পারবো না, তাহলে আমরা কোন্ দিকে যাচ্ছি...
এখন অল্প খরচে আপাতত একটি সমাধানের কথা বলি (ক্ষমাপ্রার্থী, যদি অল্প খরচের কথা শুনে সরকারী কর্মকর্তাদের কেউ মাইন্ড করেন...)। প্রতিটি লেবেল ক্রসিং-এ রেল লাইনের দুই দিকে লাল/সবুজ বাতির সিগনাল বাতি লাগানো। ট্রেন আসার আগে এই বাতিগুলো সবসময় লাল জ্বলে থাকবে। ট্রেন আসা মাত্রই গেটকীপার সড়কপথের গেট বন্ধ করা সাপেক্ষে ট্রেনকে সবুজ সিগনাল দেবে। এতে বড়জোড় দুই মিনিট পর্যন্ত একটি লেবেল ক্রসিং-এ যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
এখন গড়ে যেখানে ১০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকে। নতুন ট্রেন যেন নগরবাসীর জন্য সুসংবাদ বয়ে আনে, গলার কাটা যেন না হয়...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।