রাত ১১ টা। অন্ধকার ছাদ। মেঘমুক্ত আকাশ। রবি, সফিক ও অয়ন শুয়ে আছে। সফিকের হাতে জ্বলন্ত সিগারেট।
শুধু সিগারেটের আগুন দেখা যাবে। রবির হাতে গীটার।
সফিক: তারপর? তারপর কি হল?
রবি: তারপর, তারপর বজ্রের সাথে বাতাসের বিয়ে হয়ে গেল।
সফিক: পাহাড়টার কি হইল? গাঞ্জা ধরে নাইত?
রবি: নাহ্..... পাহাড় ঠিকই আছে। বিশ্বাস না হয় তো চিরে দেখতে পারো, ভিতরে থৈ থৈ করছে শত ঝর্ণার জল।
অয়ন: আপেকি ব্যাপার।
সফিক: চুপ্। পাইছে একখান কথা। (সামান্য উঠে রেলিং এ হেলান দিয়ে বসবে)
অয়ন: তুমি চাইলে বুঝিয়ে দিতে পারি। (সফিক সিগারেটের ছাই ফেলবে)
রবি: খবরদার, ঐ সব রিলেটিভিটির ক্যাঁচাল যেন না শুনি! তাহলে আমি কিন্তু অন্য রকম হয়ে যাব! (গীটারে একটা সুর বাজাবে)
অয়ন: কি রকম? সেই ২৬ বছরের খ্যাপা পাহাড়ের মত?
রবি: (গীটার থেকে চোখ সরিয়ে বলবে) সে কি বলে দিতে হয়..
সফিক: (শব্দ করে ধোঁয়া ছাড়বে) র্ধু! কবিতা টবিতা বুঝিনা, ছবির কথা থাকলে ক..
অয়ন: ছবিও একরকম কবিতা
(সফিক কোখ কুঁচকে অয়নের দিকে তাকাবে)
অয়ন: না মানে কবিতাও একরকম ছবি
(রবি গীটারের তার ঠিক করবে) (আকাশ) (ছাদ থেকে পুরো শহরের দৃশ্য, প্যান করে অয়নের কাছে আসবে)
অয়ন: সফিক ভাই, তোমার সেই অর্ধসমাপ্ত নারীর স্টোরিটার শেষ দৃশ্যটা কেমন হবে?
সফিক: (আকাশের দিকে তাকিয়ে) স্টোরির কি আর শেষ আছে! কোন স্টোরি?
অয়ন: ঐ যে, এক আর্টিস্ট।
নায়িকাকে দেখে ছবি আঁকা শুরু করে। ছবি অর্ধেক শেষ হতেই নায়িকা ফুটুস্। তার খোঁজে অলি গলিতে বেচারা আর্টিস্ট ঘুরে।
সফিক: ও হ্যাঁ, বুজছি। কই! আর্টিস্ট তো প্রেমে পড়েনাই, সে শুধু ছবিটা শেষ করার জন্যেই মাইয়াডারে খুঁজে, পরে একদিন ছবি শেষ হয়, মাইয়াও আর্টিস্টের প্রেমে পড়ে, কিন্তু ততনে আর্টিস্ট ফুটুস্।
(অয়ন হাসে, রবির গীটারে একটা সুর বেজে উঠে)
রবি: (গীটারের দিকে তাকিয়ে) ইন্টারেস্টিং, ভেরি ইন্টারেস্টিং।
সফিক: ইন্টারেস্টিং হইবোনা! আসল কাহিনী আরো বেশি ইন্টারেস্টিং
রবি: (গীটার থেকে মুখ তুলে) কি! কেউ? তোর প্রেমে পড়ছিল নাকি?
সফিক: (উচ্চস্বরে হাসবে, হঠাৎ করে হাসি থামবে) ঐ সব ঝামেলা করার টাইম আছে? কত আইলো আর গেল।
অয়ন: কাহিনীটা বলবে?
সফিক: চুল তার কবেকার, কিসের যেন নিশা?
রবি: বিদিশার নিশা
সফিক: ঐ একটা কিছু, তবে চুল ছিল দেখার মত, শেড গুলা দিতে লাগছিল এক সপ্তাহ।
অয়ন: তুমিতো ভালই আঁকো, এত সময় লাগল কেন?
সফিক: তাওতো হইলনা, শেষ হওয়ার আগেই পাখি ফুটুস্।
রবি: ও, তার মানে প্রেমে পড়ে নাই।
সফিক: পুরাটাতো কইলামইনা।
অয়ন: আরে বল বল, শুনতে মজাই লাগে।
সফিক: বছরখানেক আগে শেষ দেখা। সাথে একটা বাচ্চা। তারই হবে।
আমারে কয় কিনা এই যে আর্টিস্ট সাহেব, ছবি শেষ করবেননা?
অয়ন: তুমি কি বললে?
সফিক: (আরেকটা সিগারেট ধরাবে, ধোঁয়া ছেড়ে বলবে) কইলামনা? মাইয়া মানুষেরে নিয়া কোন সিডিউল নাই।
অয়ন: সফিক ভাই! তুমি কিন্তু প্রথমে মেয়ের ছবিই এঁকেছিলে।
রবি: একটা বিবাহীতা নারী তোর মত ছেলের প্রেমে পড়লো, এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
সফিক: প্রেমের অনেক রং। নীল প্রেম, গোলাপী প্রেম। তারমধ্যে এইটা ধর হাল্কা আকাশী প্রেম।
দিনে দুইবার কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করত, আমার একটা ছবি আঁক, আমার একটা ছবি আঁক, ঐটাই শেষ। এরপর আর আঁকি নাই।
(অয়ন নিঃশব্দে হাসবে)
সফিক: নে ধর, রংয়ের গানটাই শুরু কর
(রবি গীটারে গানের সুর তুলবে) (উপর থেকে তাদের তিনজনকে দেখা যাবে) (গান শুরু হওয়ার সাথে সাথে টিল্ট করে আকাশ দেখানো হবে)
*[৩ বছর আগের লেখা। তখন আমার বয়স সবে ২০। প্রযোজকের অভাবে নির্মিত হয়নি।
পরের সিকোয়েন্সগুলো দেব?]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।