শোয়াইব জিবরান
উইনিকোড বঙ্গ আবিষ্কার হইবার পর বঙ্গরাজ্যের অধিবাসিগণ ফেইসবুকে সাহিত্যচর্চা করিতেছে। ইহা শুনিয়া গতকল্য সন্ধ্যায় বয়স্য এক লেখক কাটাঁবনে বসিয়া হাহাকার করিলেন। সাহিত্য এখন হরেদরে চলিতেছে। ইহা টিকিবে না। তাহার হাহাকারে কাটাঁবনের মসজিদের কোণার ধূলোমাখা রক্ষণশীল বাতাস আরো ভারী হইয়া উঠিয়াছিল।
আমি মনে ভাবিয়া দেখিলাম তাঁহার ফেসবুক একাউন্ট নাই, ইউনিকোডবঙ্গ অজানা, থাকিলে কী হইতো বিধাতা জানেন।
রাতে ফেইসবুকে দেখিলাম এক দেশীয় ভ্রাতা কারো নাম মুখে না আনিয়া হরেদরে উষ্মাপ্রকাশ করিয়াছেন। তদীয় সামাজিকস্থানকলামে লিখিয়াছেন, কাহারা নাকি হাবিজাবি লেখা লইয়া বঙ্গ সাহিত্য বাজারে হাজির হইতেছে। আজি হইতে শতবর্ষ পূর্বে বঙ্কিমবাবুকে এমন কথা বলিতে শুনিয়াছিলাম। তিনি সে সময়কার সাহিত্যকে অপক্ষ কদলী বলিয়াছিলেন, তাহা নাকি আবার দৈনিকপত্রে মুড়িয়া বাজারে বিক্রয় হইতেছিল।
উল্লেখ থাক তাহার ভ্রাতা সঞ্জীবচন্দ্রও তখন লিখিতেছিলেন।
বিগত শতাব্দীতে জীবনানন্দবাবু কাব্য লিখিলে সজনীকান্ত মহাশয় যারপরনাই কুপিত হইয়াছিলেন। তিনি তাঁহার শনিবারের চিঠিতে কীসব লিখিতেন, কবির নাম বিকৃত করিয়া বলিতেন, ভাবিলে আমাদের অদ্যাবধি লোমহর্ষ হইয়া থাকে। তিনি তাঁহার কাব্যকে হাবিজাবিই বিবেচনা করিয়াছিলেন। সেদিন ইউটিউবে দেখিলাম (ভালকথা- আমাদের ক্যাম্পাসের সার্ভারে এটি কখনও বন্ধ করা হয় নাইগো!) গায়ক সুমন গাহিতেছেন গোসাঁই যে কোন চুলায় যাবে কেউ জানে না।
সামনে আমাদের সময়ের প্রিয় কবি জয় গোসাঁই মঞ্চে নতমুখে বসিয়া রহিয়াছেন।
বঙ্গরাজ্যে নাম লইয়া না লইয়া ভাসুর –ভ্রাতৃবধূদিগের এই যে ক্যাচাল চলিতে আছে তাহার সমাপ্তি হইবে না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।