দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
এই হচ্ছে আসল জামাত ধূর্ত, বর্ণচোরা, শেয়াল। কি রকম কাপুরুষ হলে আজ দুদিন ধরে ব্লগারদের নিক/ প্রোফাইল ছবি চুরি করে সমানে আবোলতাবোল করে যাচ্ছে! এতেই প্রমান করে এরা কত বড় কাপুরুষের দল। যে ধর্মের তকমা লাগিয়ে এরা রাজনীতি করছে দাড়ি-টুপি'র আড়ালে এটা স্রেফ একটা ছদ্দবেশ। সুযোগের অপেক্ষায় আছে যেদিন সুযোগ হবে আমি লিখে দিলাম পুরো বাংলাদেশকে এরা রায়ের বাজার বদ্ধভূমি বানাবে।
এরা কি কি পারে, আসমান কে কি করে জমিন বানিয়ে দেয় আজ দু'দিন যাবত ব্লগের সবাই টের পাচ্ছেন। ব্লগটাকে আরেক ২৮ অক্টোবরের ময়দান বানিয়ে ফেলছে। সবচে বিশ্ময়ের ব্যাপা আজ দু'দিন যাবত কায়ক্লেশে মিথ্যা বলে বলে উল্টা করে সব পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছিল একের পর এক। কি সাংঘাতি ধূর্ত হলে মানুষ এভাবে চিন্তা করে, সময়ে এরা যে কত বড় বিশ্বাস ঘাতক হতে পারে ভেবে দেখুন একবার! মুক্তিসংগ্রামের সময় এদের কৃতকর্মের যে ভয়ানক ফিরিস্তি শুনেছিলাম, এখন তা উপলব্ধিই করছিনা শুধু নিজে প্রমান ও পাচ্ছি।
কথা না বাড়িয়ে একটি সবিনয় নিবেদন সবার কাছে, খুনি-রাজাকার বলে গালাগালি দিয়ে নিজের ব্লাড প্রেশার বাড়ালে নিজের হার্টষ্ট্রোক করার সম্ভাবনাই বেড়ে যাওয়াটা স্বাভবিক।
সময়ের প্রয়োজনে আজ এমন কোন পথ বের করতে হবে যাতে বাংলাদেশের জন্মটা, সেই স্বপ্নবান তিরিশ লাখ মানুষের প্রানের আলো যেন বৃথা না যায়।
বাংলাদেশের মানুষকে আজ যেটা পরিষ্কার হতে হবে তা হচ্ছে,
*'ধর্মতন্ত্র' আর 'ধর্মকর্ম' এর মধ্যে পার্থক্য কি তা পরিষ্কার করে বোঝা।
*মানুষ ধর্ম চর্চা করতে চায় নাকি ধর্মতন্ত্র(সৌদিআরবের মত) চর্চা করতে চায় সেটা পরিষ্কার হওয়া।
আর মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন যেটা তা হলো তা হচ্ছে,
*ধর্মতন্ত্র আর গনতন্ত্র উভয়ই কি একই ছাদের তলে সংসদ বসাতে পারে কি না?
মিনমিন করে লামসাম করে বংলাদেশের মানুষরা যত দিন জেগে জেগে ধরি মাছ নাছুঁই পানি করবে, ততদিন আমারা কেবল ঘড়ির তিনকাটা মুঠোয় ধরে রেখে সময়কে বন্ধ রাখবার এক ভয়ানক চেষ্টাই কেবল করব আর কিছু নয়।
আজ আমাদের সময় হয়েছে বলার,
ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ আমাদের সবার।
মানুষ ধর্ম করতে মসজিদ/মন্দির/গীর্জা/প্যাগোডা/গুরুদারে যাক, পড়ালেখা করতে স্কুল/কলেজে আর রাজনীতি করতে যাক সংসদে। আল্লাহ্ সব জায়গাতেই বর্তমান তাঁর আইন নিয়ে। সে জন্য পাসপোর্ট অফিসের দালালের মতো ধর্মের লেবাস ধরা জামায়াত বা অন্য কোন ধর্ম ব্যাবসায়ী দালালের দালালীর কোন স্থান থাকা উচিত নয়।
বাংলাদেশে যতক্ষন পর্যন্ত না এ সংস্কার আমরা আনতে পারছি ততক্ষন পর্য্যন্ত ছাতা-মাথা কোন কিছুতেই কিছু হবেনা। সব গুড়েই এই ছদ্দবেশীরা সব সময় এসে বালি ঢেলে দেবে।
আল্লাহর ধর্মকেও যারা বেচে ফেলে, তারা সব পারে!
বাচতে হলে, (দেরি না করে আমাদের সবার সেটা) বুঝতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।