আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লী-মুম্বাইয়ে বাসে গণ ধর্ষণের অনুকরণে এবার আরিচায় বাসে গণ ধর্ষণ..

ইয়া আল্লাহু - ইয়া রাহমানু - ইয়া রাহিম। দিল্লী-মুম্বাইয়ে বাসে গণ ধর্ষণের অনুকরণে এবার আরিচায় বাসে গণ ধর্ষণ.. ওদের ব্যঙ্গ নাচন দেখে দেখে যখন হাঁটতে গিয়েও আমাদের ছোকরারা বানরের মতো লাফাতে থাকে, ওদের দেখাদেখি স্টাইলে যখন চুলে শিঁতি কাটে, ওদের মতো করে জামা কাপড় পরে, এমনকি বাঙ্গালিয়ানা ভুলে হিন্দিতে বাতচীত শুরু করে, তবে মেইন কাজে আর পিছিয়ে থাকা ক্যন? সেজন্য কিছুদিন পূর্বে ভারতের সিরিজ গণ ধর্ষণের সাথে সাথে বাংলাদেশেও বিভিন্ন জায়গায় আচমকা গণ ধর্ষণ-উৎসব শুরু হয়েছিল ! দিল্লী, মুম্বাইয়ে বাসে ধর্ষণের অনুকরণে এবার আরিচা রোডেও তার অনুকরণ!! ওরা বাংলার ধর্ষকদের গুরু, ওরা অনেক উদার, ওদের মাঝে ধর্মীয় বাড়াবাড়ি (ধর্মের বাঁধ) নেই। ওরা নারীদের স্বাধীন করে দিয়েছে, এক্কেবারে উম্মুক্ত স্বাধীনতা। ওদের কৃষ্টি অনুযায়ী নারীকে নিজের শ্লীলতা ও ইজ্জত রক্ষায় হিজাব পরতে হয় না, যার সাথে ইচ্ছা ডেটিং করতে পারে। ওরা নারীদের শর্টকার্ট করে উপস্থাপন করে বাংলার ধর্ষকদেরকে নারী মাংশ ভোগে উদ্দিপ্ত করেছে।

মৌলভীরা যা বলে, তাতে তো বোরকার ভেতরের নারী সাদা না কালো, বুড়ি না ছেড়ি, কিছুই বোঝা যায় না। একারণেই বলিউডের নারীভোগ ও ইভটিজিং প্রশিক্ষকদের বিপরীতে আমাদের সমাজের ধর্ষকরা ঘৃণা করে (রক্ষণশীল!) মৌলভী সাহেবদের। নারীকে নানা মুখোরোচক শ্লোগানের মাধ্যমে খোলামেলা ও কাপড়চোপড় শর্টকার্ট করে ঘরের বাহিরে এনে কীভাবে কতো উপায়ে ভোগ করা যায়, সিনেমার মাধ্যমে বাংলার ধর্ষকদের সেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বলিউড-হলিউডের মুরুব্বীরা। গুরুদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়াই শিষ্যের কাজ, নানা স্পটে ধর্ষণের পর পাবলিক বাসে ধর্ষণের সিনেমা মারফত পাওয়া আইডিয়ার বাস্তবায়ন করেছিল ভারতীয় ধর্ষকরা। শিষ্য হিসেবে সেই অনুশীলন তো করতেই হয় আমাদের? আরিচায় বাসে ধর্ষণ থেকে হয়তো সেই যাত্রাই শুরু! সেসব গুরুরা হলেন বলিউডের নায়কগন।

বাংলাদেশে তাদের সোল এজেন্ট হলো চ্যনেল আই ও প্রথম আলো। আধুনিক ও স্মার্ট পতিতা তৈরি করে চ্যনেল আই। তারা এখন প্রকাশ্যে স্পষ্ট ভাষায় বিবাহ বহির্ভুত কিংবা বিবাহের পর প্রমে ভাবালুতার প্রচার করে এবং প্ররোচণা দিয়ে থাকে। বিয়ের পর বয় ও গার্ল ফ্রেন্ড থাকা দোষের নয়, বলে প্রথম আলো নিয়মিত নানা আর্টিকেল লেখে। রুমানার চোখ উপড়ানো এবং সাঈদের মৃত্যুর জন্য দায়ী এরা।

সকল ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ে এদের অবদান অনস্বিকার্য। কিন্তু দেশের মালিক পক্ষের সঙ্গি হওয়ায় বলার কিছুই নেই। কিন্তু এদের মুখোশ খুলতে তো বাধা নেই!!!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।