নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
বিষয় : "কসম", বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় আমরা মুসলমান'রা কোন সাধারণ বিষয় কিংবা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে "কসম" করে বসি, সেটা আল্লাহ নিকে যেমন করি, তেমনি পবিত্র কুরআন শরীফকে নিয়েও তেমনই কসম কাটি, মা-বাবা, পার্থিব, অপার্থিব বস্তু পর্যন্ত এই কসম কাটা থেকে বাদ যায়না। কোন বিষয় বা ঘটনাকে সত্যতা প্রমাণের জন্য এধরনের কসম কাটা হয় যা বহুল প্রচলিত এবং শিক্ষিত, অশিক্ষিত, শহুরে, গ্রামে সবর্দাই সর্বক্ষেত্রে প্রচলিত।
আজ দৈনিক ইনকিলাবের ওয়েব সংস্করণে বি.এম.হান্নান-এর নিউজটি চোখে পড়ে "কোরআন ছুয়ে কসমের পর বধির ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে ......" উতসাহী হয়ে পুরো নিউজটা পড়ে ফেলি, মূলত বিষয়টি যেটা ছিল, আজ ৬দিন ধরে কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম করার পর ছেলেকি এষনও বাকরুদ্ধ হয়ে আছে, ঘটনাটি টাকা-পয়সা লেনদেন প্রসঙ্গে, বদানুবাদের এক পর্যায়ে ছেলেটি অপবিত্র শরীরে কোরআন শরীফ ছুয়ে কসম কেটে ফেলে, তার ৫মিনিটের মধ্যেই ছেলেটির কথা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাশের বাড়ীর মাওলানা এবং তার পরে নিকটস্থ পীর সাহেবের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও ছেলেটির অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি, বরং কানেও শুনতে পারছিলনা, সংবাদদাতার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটি বাড়ী থেকে বের হয়ে কোথায় যায়, তার বাড়ীর লোক কিছুই বলতে পারেনা, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছেলেটি নিরুদ্দেশ থাকে।
*এখানে ইনক্লাব পত্রিকাটি, ক্লিক করুন*
মনে পড়ে যখন একটি ইসলামে বই পড়েছিলাম তখন "কসমের" বিষয়টিও অর্ন্তভূক্ত ছিল, সেখানে বলা ছিল "খোদা ব্যতীত আর কাহারও নামে কছম করা যাবেনা, হারাম। খোদা-তাআলা, কুরআন শরীফের নামে কসম করে তা ভঙ্গ করলে তার জন্য কাফফারা দিতে হয়।"
ইসলামে কসম করতে নিষেধাজ্ঞা ঠিকই কিন্তু আমরা যেভাবে যখন তখন যেকোন বিষয় নিয়ে কসম কেটে ফেলি এটা ঠিক নয়, কসম যদি কাটতেই হয় তবে তা বুঝে শুনে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।