আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কলা শাক-সবজিতে কীটনাশক-মানবদেহে অবাধে ঢুকছে ভয়াবহ বিষ

mojnu@noakhaliweb.com.bd

বিষাক্ত কীটনাশকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে দেশের স্বল্প শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সাধারণ কৃষকদের অজ্ঞতা এবং দ্রুত অধিক ফলন পাওয়ার আশায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহারে বিলুপ্ত হতে চলেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সাগর কলা। ফলে বাংলাদেশের গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সব বয়সের মানুষের প্রিয় সাগর কলা। এতে নতুন প্রজন্ম বঞ্চিত হতে চলেছে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ থেকে। সাগর কলার জন্য বিখ্যাত রাজধানীর পাশের অঞ্চল নরসিংদীর প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বর্তমানে বিদেশি কলা চাষের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত কীটনাশক। শুধু কলা চাষেই নয়, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এ বিষ ব্যবহার করা হচ্ছে এই এলাকার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির শাক-সবজি চাষেও।

বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের সদস্য বিশিষ্ট কৃষিবিদ এবং সুস্বাদু সাগর কলার জন্য খ্যাত নরসিংদী জেলার কৃতী সন্তান শ্যামল গোস্বামী জানান, সাগর কলা চাষে খরচ খুব বেশি পড়ে। সে তুলনায় উৎপাদন হয় কম। তাছাড়া ভেঙে পড়া রোধ করার জন্য বাশের খুটি দেয়া না গেলে ঝড়-বৃষ্টিতে সাগর কলার গাছ খুব সহজেই ভেঙে পড়ে। তাই সাগর কলার পরিবর্তে বর্তমানে নরসিংদী জেলায় উচ্চ ফলনশীল বিদেশি কলা (নেপালি কলা), শবরি, গ্যারাসুন্দর এবং মিহির সাগর নামে পরিচিত যশোর অঞ্চলের কিছু কলারও চাষ হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার বাড়ির ভিটায় বা জমিতে চম্পা নামে ছোট আকৃতির কলারও চাষ হচ্ছে।

কৃষিবিদ শ্যামল গোস্বামী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্যি বর্তমানে এ অঞ্চলে কলা চাষের জন্য প্রায় সর্বত্রই বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। অল্প সময়ে বেশি ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকরা কলা ও শাক-সবজি চাষে কীটনাশকের পাশাপাশি হরমোনও ব্যবহার করছেন। কৃতজ্ঞতা স্বীকার-রাশেদ হোসেন /যায়যায়দিন/২০অক্টোবর২০০৭

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।