যদি কখনও সুযোগ পাই, সাত বাজারের চুড়ি এনে দেব, যত্ন করো!
ঢাকায় আসার পর এটাই প্রথম রোজা। নতুন জব, এজন্য ব্যস্ততা একটু বেশী। তারপরও ফ্রেন্ডদের সাথে কয়েকদিন মার্কেটে ঘুরলাম। বেইলি রোড আর মগবাজার (আড়ং) এ বেশী গিয়েছি, একদিন অবশ্য বসুন্ধরায় ঘুরেছি। মূলত ব্যাচমেটদের সাথে ইফতারের জন্যই বসুন্ধরায় গিয়েছিলাম।
এর মাঝেই অনেকে ঢাকা ছেড়েছে। অনেকে ছাড়ার পথে। বাসার ৩জনের মাঝে একজন চলে গেছে... আরেকজন আজকে যাবে, আমার পালা কাল।
মার্কেটগুলাতে প্রচুর লাইটিংস, বরাবরের মত, লোক সমাগম মোটামুটি। তবে একটা পার্থক্য চট্টগ্রামের সাথে, সেটা হচ্ছে যে চিটাগাংএ সারারাত মার্কেট খোলা থাকে, সেহরীর সময় বন্ধ হয়।
ক্রেতাও থাকে প্রচুর। ঢাকাতে সেই কালচার নাই। ১১টার মাঝেই প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায়। যেমন গতকাল রাতে বেইলি রোডে গেছিলাম, পাশের বড় ভাই শাড়ি কিনবে, লগে গেলাম, তখন সাড়ে ১০টা বাজে, কিন্তু লোকজন নাই! খাঁ খাঁ করতাছে, অবশ্য শবেকদর একটা কারণ।
চিটাগাংএর কথা মনে পড়ল।
ইফতারের আগে বের হতাম, কয়েকজন মিলে, ইফতার করতাম জামানের যে কোন শাখায় বা অন্য কোন রেসটুরেন্টে, এর পর মার্কেটে ঘুরা বা আড্ডা দেয়া, মেহেদীবাগ, জি.ই.সি, লালখানবাজার, শপিং কমপ্লেক্স... ইত্যাদি। বাসায় ফিরতাম রাত ১২টা বা ১টা। জি.ই.সি তে অনেকের সাথে দেখা হত, অনেক পুরোনো বন্ধু.... হয়ত অনেক বছর দেখা নেই.... হঠাত জিইসি তে দেখা, বেশ ভালই লাগত তখন। আড্ডা দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেলে গ্রুপ করে ঘুরে আসতাম ওশেন সানমার বা সেন্ট্রাল প্লাজায়। যেয়ে স্ক্যান করতাম চোখ দিয়া !
চোখের ব্যায়াম হত।
চান রাইতের শপিং বলে একটা কথা প্রচলিত আছে চাটগায়, চাঁদ দেখার সাথে সাথে অনেকে শপিং এ বের হয়। ২৯ রমযান ত হুলস্থুল অবস্থা। কোন মার্কেটেই দাঁড়ানোর জায়গা নাই।
তিল ঠাঁয় আর নাহি রে... (বাঁচাওওও)
আর মাত্র একদিন..... ইনশাআল্লাহ, এরপর দিন থেকেই শুরু হবে আগের মত দিন, মাত্র ২দিনের জন্য.....
সবাইকে ঈদ মুবারাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।