!!!
সুধারাম এমনিতেই কম ঘুমায় কিন্তু একবার ঘুমিয়ে পড়লে ডেটিং এর মতো ইমারজেন্সি মুহুর্তও ব্যান করতে তার মোটেই দ্বিধা হয় না। বিশেষ করে সকালের ঘুম মানে ঐশ্বিরিয়ার কোলে মাথা রেখে প্রীতি জিনতার সাথে মোবাইলে টাংকি মারার মতোই স্বপ্নময়!! ঈদের দিন বাবা ঘুম থেকে ডেকে তুলে চোখের আড়াল হলেই আবার ঘুমের পূণরাবৃত্তি,। সবশেষে লাঠি নিয়ে আসা মায়ের হুমকিতে ফাইনালি ঘুম ভাঙ্গে!!। "জামাতের সময় হয়ে গেছে সবাই কাতার সোজা করে দাঁড়ান"- ঈদগাহ থেকে মাইকে এই ধরনের আওয়াজ যখন ভেসে আসে সুধারাম সাধারণত ঐ মুহুর্তে গামছা পড়ে পেঙ্গুইন বডি নিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসেন। ঈদগাহ থেকে নামাযের ঘোষণা কানে আসতেই ফায়ার সার্ভিসের বেগে প্যান্ট আর পাঞ্জাবী পড়া শেষ ।
তখনও পেটে খিচুরি সেমাই কিছুই পড়ে নাই। খালি পেটেই কোন রকম টুপিটা হাতে নিয়ে শুরু হয় সুধারামের ম্যারাথন দৌড়। স্বাভাবিকভাবে হেটে গেলে ১৫ মিনিটের পথ। কিন্তু সুধারামের প্রয়োজন পরে ম্যাগি নুডুলসের মতো মাত্র ৫ মিনিট। ইমান সাহেব যতক্ষণে সবাইকে নামাযের নিয়মকানুন শেখান ততক্ষণে সুধারাম হাজির হন সর্বশেষ নামাযী হিসেবে সর্বশেষ কাতারে।
হুজুরদের বয়ান থেকে সুধারাম জেনেছে যে ঈদের নামাযে প্রথমে আগতরা পান উট কোরবানীর ছওয়াব, তারপর একের এক যারা আসেন তারা ক্রমান্বয়ে পান দুম্বা, গরু, মহিষ, ছাগল, মুরগী ইত্যাদি কোরবানীর ছওয়াব এবং সর্বশেষ যে নামাজে আসে সে পায় ডিম কোরবানীর ছওয়াব। ডিম খারাপ জিনিস না, প্রচুর আমিষ আছে তা ছাড়া ডিম আছে বলেই মুরগি তৈরি হতে পারে আরও অনেক কিছু... ইত্যাদি সব পজেটিভ কারণে ডিমের প্রতি সুধারামের ব্যাপক লোভ রহিয়াছে তাই প্রতি ঈদের একজন নিয়মিত ডিম কোরবানীর ছওয়াবধারী সে।
এবারের ঈদে আমি ছাড়া বাকি সব ব্লগাররা উট কোরবানীর ছওয়াব লাভ করুন এই শুভ কামাণাই করি, ঈদ মোবারক!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।