আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গল্প_যখন কৃষ্ণপক্ষ আসে(এই লেখাটা মাথামোটাকে উতসর্গ করা হলো)

আমি কাক নই, আমি মানুষ...

ওসি একরামুদ্দোলার মেজাজটা আজ একটু ভালো। আজ থানায় হাজতির সংখ্যা বেড়েছে। হাজতির সংখ্যা বেশি মানেই বেশি উপরি। তবে রোজ রোজ পকেট মোটা করে ঘুষ বাড়িতে নিয়ে যেতে একই রকম লাগে। সকালের আলু ভর্তা, ডিম ভাজি আর ঘুষÑ এ তিনে কোনো পার্থক্য নেই।

কিন্তু আজ একটা অন্য রকম ব্যাপার ঘটেছে। এক ছিঁচকে চোর কোত্থেকে একটা মোবাইল চুরি করে এনেছে। চোরের নাম আলীমুদ্দি। সবাই বলে চোট্টা আলী। ওসি সাহেব রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে চোট্টা আলীর পাছায় দুটো ডাণ্ডার বাড়ি দিলেন।

চোট্টা আলী উহ্ করে উঠল। তারপর বলা নেই, কওয়া নেই হুট করে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দিয়ে বলল, স্যার আপনার জন্যই চুরি করেছি। ওসি সাহেব আবারও একটা ডাণ্ডার বাড়ি দিলেন। তারপর সেটটা হাতে নিয়ে ঠাণ্ডা হলেন। কি মনে করে তিনি চোট্টা আলীকে ছেড়েও দিলেন।

তারপর সেটটা হাতে নিয়ে ভাবলেন, সিমটা খুলে ফেলা যাক। কার না কার মোবাইল। সিম থাকলে হয়তো ফোন করে বলবে, ভাই সাহেব মোবাইলটা আমার। আপনি কে? এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া মুশকিল। কারণ তিনি ঘুষ খেলেও মিথ্যা কথা বলেন না।

মিথ্যা বলা পছন্দও করেন না। আসামি চুরি করে এসে যদি বলে, স্যার চুরি করেছি। তারপর ঘুষ ঠিকমতো দিলেই ছেড়ে দেন। কিন্তু মিথ্যা বললেই মুশকিল। একবার এক ব্যাটা স্বয়ং এসপি সাহেবের বাসায় চুরি করেছিল।

ব্যাটার সাহস আছে। ওসি সাহেবের সামনে এসে বলল, স্যার এটা যে এসপি সাহেবের বাড়ি তা আমি জানতাম না। ওসি সাহেব তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ মাসে মাসে ঘুষ খেয়ে এসপি সাহেবের টাকা রাখার জায়গা নেই। আর ওই ব্যাটা তো মাত্র কয়েক হাজার টাকার জিনিস চুরি করেছে।

ওর তো বেঁচে থাকা লাগবে। মোবাইলটার কালারটা অদ্ভুত। কাভারটা কালো! ডিসপ্লে হালকা নীল। ফোল্ডিং সেট। ওসি সাহেব পেছনের কাভার খোলার চেষ্টা করলেন।

পারলেন না। ভাবলেন, দামি সেট। টানাহেঁচড়া করে শেষমেশ নষ্ট করার মানে হয় না। এরচেয়ে বরং সেকেন্ড অফিসার রফিককে ডাকা যাক। ও আবার এ বিষয়ে বেশ পারদর্শী।

কিন্তু সে যদি আবার সেটটা চেয়ে বসে। নাহ! সেটটা তার বেশ পছন্দ হয়েছে। এটা কিছুতেই হাতছাড়া করবেন না। মোবাইলের দোকানে নেয়ার পর অনেক কষ্টে সেটটা খোলা হলো। ভেতর থেকে টেকনিশিয়ান সিমটাও বের করে আনল।

আশ্চর্য! সিমটা পরিচিত কোনো মোবাইল কোম্পানির নয়। সিমটার সাইজটাও অদ্ভুত রকম গোল। সামনের দিকটা একটু চোখা। সিমের ওপর আরবিতে কী যেন লেখা। হয়তো এটা সৌদি আরবের মোবাইল কোম্পানির সিম।

অবশ্য নাও হতে পারে। ইদানীং সব পণ্যের ওপর আরবিতে লেখা থাকে। যাতে মানুষ সৌদির পণ্য মনে করে প্রতারিত হয়। মোবাইল কোম্পানিগুলো তো এমনিতেই আমাদের ফতুর করে দিচ্ছে। এটা আবার নতুন কোনো ফন্দি কি না কে জানে? ওসি একরামুদ্দোলার মুখটা হঠাত তিতা হয়ে গেল।

কারণ টেকনিশিয়ান বলল, স্যার এই মোবাইল ফোন আর সিম দুটোই আমাদের দেশের নয়। দেখেছেন সিমটা কেমন গোল। আমাদের দেশের কোনো সিম এ সেটে চলবে না। তাহলে এখন এই সেট দিয়ে কী হবে? স্যার, সেটটা বরং আপনার ছোট ছেলে-মেয়ে থাকলে ওদের দিয়েন। ওরা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করবে।

ওসি সাহেব কিছু বললেন না। তিতা মুখ নিয়েই বেরিয়ে পড়লেন রাস্তায়। তার চাকরি জীবনে কেউ তাকে এভাবে বুদ্ধু বানাতে পারেনি। চোট্টা আলীরে পাইলে ব্যাটার ফরটিন জেনারেশনের নাম ভুলিয়ে দেবেন। কত বড় সাহস, ব্যাটা আসলে জানে এটা ভুয়া সেট।

এ কারণেই ওসি সাহেবের হাতে ধরিয়ে দিয়ে পালিয়েছে। ওসি সাহেব এসব ভাবতে ভাবতেই রাস্তার পাশে একদলা থুথু ফেললেন। একটা নোনতা ঢেঁকুর তুললেন। ঠিক এ সময়ই মোবাইলটা বেজে উঠল। তিনি অবাক হয়ে মোবাইলটার দিকে তাকালেন।

সিম নেই অথচ ফোন বাজছে। এটা কী করে সম্ভব! তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। ডিসপ্লেতে স্পষ্ট নাম উঠেছে- Reality of Soul. কিন্তু কোনো নাম্বার নেই। ওসি সাহেব ফোনটা ধরে দরাজ গলায় বললেন, হ্যালো। ও পাশ থেকে শুনশান নীরবতা।

তিনি আবার বললেন, হ্যালো। মুন্সি একরামুদ্দৌলা, আপনি কেমন আছেন?’Ñ একটা মেয়ে কণ্ঠ ভেসে এলো ওপাশ থেকে। ওসি সাহেবের বুকটা কেঁপে উঠল। মেয়েটা তার আসল নাম জানল কেমন করে? তার নামের আগে মুন্সি শব্দটা কেউ ব্যবহার করে না। সেই ছোটবেলায় তার বাবা এই নামে ডাকতেন।

তিনি তিন গ্রামের মানুষ খাইয়ে ওই নামে আকিকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু নামের আগে মুন্সি শব্দটা তার ঠিক পছন্দ নয়। এ কারণে তিনি ওটা আর ব্যবহার করেন না। তার বাবা মারা যাওয়ার পর মুন্সি শব্দটা মুছেই গেছে। আপনি কে বলছেন? আবার নীরবতা।

হঠাত একটা হাসির শব্দ হলো। তারপর কোনো শব্দ নেই। ওসি সাহেব রুমাল দিয়ে মুখ মুছেন। আমাকে আপনি চিনবেন না। ওসি সাহেব মনের জোর ফিরে আনার চেষ্টা করলেন।

ধমকের সুরে বললেন, এই তোর নাম কি? গুঁতা দিয়ে তোর ভুঁড়ি গালায়ে দিমু। ধমকের সুরে বললেও তিনি মনে মনে শঙ্কিত হন। গলার কণ্ঠটা বেশ পরিচিত। ষোল বছর আগে তিনি বাউলাডাঙ্গায় চাকরি করতেন। সে সময় কলমী নামের এক গ্রামের মেয়ে তার বাসায় কাজ করত।

জহির নামের এক সেকেন্ড অফিসারের সঙ্গে তিনি থাকতেন। দুজনই সে সময় বাচেলর ছিলেন। হঠাত জহির বিয়ে করে ফেলল। সে চলে গেল কোয়ার্টারে। তিনি একাই মেসে আট-দশ দিন ছিলেন।

সে সময় সুযোগ বুঝে সর্বনাশ করেছিলেন কলমীর। তারপর কলমীকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে থামিয়ে রেখেছিলেন তিন মাস। এরই মধ্যে তিনি বদলি হয়ে পালিয়ে আসেন বাউলাডাঙ্গা থেকে। তারপরও তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেননি। তিন দিন পর খবর এল কলমী আত্মহত্যা করেছে।

তিনি দেখতে যান। বাউলাডাঙ্গার তিন রাস্তার মোড়ে অশ্বত্থ গাছে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কমলী। তার দেহটা ঝুলে আছে গাছের ডালে। কালো রঙের অদ্ভুত এক ধরনের পোকা তার চোখের পর্দা খেয়ে ফেলেছে। কী বীভতস সে দৃশ্য! এরপর বহু রাত তিনি ঘুমোতে পারেননি।

এরপর কেটে গেছে ষোল বছর। ওসি সাহেবের স্মৃতি থেকে মুছে গেছে কলমী। পুলিশের চাকরি করলে এসব ছোটখাটো ব্যাপার হজম করতে হয়। কিন্তু মোবাইলের কণ্ঠটা একেবারে কলমীর মতো। না, নাÑ এত বছর পর কলমী আসবে কোত্থেকে।

তিনি ঝেড়ে কাশলেন। তারপর বললেন, এই তুই কে রে মাতারী? মুন্সি একরাম, আপনি উত্তেজিত হবেন না ওসি সাহেব মোবাইলের লাইন কাটার চেষ্টা করলেন। পারলেন না। তিনি বললেন, কী বলবেন? লাইন কাটার চেষ্টা করে লাভ নেই। শুনেন, রহমতগঞ্জ এফ-ব্লকের আটত্রিশ নম্বর বাড়িতে যান।

ওই বাড়ির তিনতলায় মিজান-রাজু গ্রুপ লুকিয়ে আছে। ওরা বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনি জানলেন কেমন করে? উত্তর এল না। লাইনটা কেটে গেল। ওসি সাহেব এসব ইনফরমেশনের ধার ধারেন না।

তারপরও কি মনে করে দুই প্লাটুন পুলিশ নিয়ে ছুটলেন। হাজার হলেও মিজান-রাজু বলে কথা। ওরা এ শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী। ওদের নামে পাঁচ লাখ টাকা হুলিয়াও জারি করা হয়েছে। দুই. আশ্চর্য ঘটনাটা ঘটছে সেদিনই।

মিজান-রাজু ধরা পড়েছে। আইজি সাহেব নিজে ফোন করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুলিশ হেড কোয়ার্টারে তাকে নিয়ে গল্প চলছে। সাংবাদিক ভাইরা ইতোমধ্যে কয়েকবার তার সাক্ষাতকার ছাপিয়ে ফেলেছেন। তাদের প্রশ্ন ছিল তিনি কী করে মিজান-রাজুর খবরটা নিশ্চিতভাবে জেনেছিলেন।

তিনি প্রশ্নটার উত্তর এড়িয়ে গেছেন। কদিন হলো বেশ একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এ বছর পুলিশ পদকটা ওসি একরামুদ্দোলা পাচ্ছেন। খবরটা শুনে তার ভালোই লেগেছে। তিনি খুশি মনে দশ কেজি মিষ্টি এনে থানার সবাইকে খাওয়ালেন।

ওসি সাহেব থানায় বসে মিষ্টি খাচ্ছেল। এমন সময় মোবাইলটা আবার বেজে উঠল। ও পাশ থেকে সেই মেয়ে বলল, বনানী ব্লক-সি, বাসা-৪, ওখানে অবৈধ নিল ছবি তৈরি হচ্ছে। কিছু সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদের প্রেমের অভিনয় করে ফাঁসিয়েছে দুই প্রতারক। তারা গোপনে ভিডিও করছে।

আপনি যান। ওসি সাহেব এবার আর দেরি করলেন না। দলবল নিয়ে পৌঁছলেন সেখানে। মারুফ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করলেন। পরে জানা গেল মারুফ জনৈক মন্ত্রীর ছেলে।

মেয়েদের অর্থ-প্রতিপত্তি দেখিয়ে প্রেম করত। পরে সুবিধামতো তাদের অজান্তে ভিডিও কিপ রেকর্ডিং করে পাচার করত মধ্যপ্রাচ্যে। এই ঘটনার দু দিন পর এক মন্ত্রীর ফোন এল। তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত হলেন। ভাবলেন মন্ত্রী সাহেব হয়তো তাকে অভিনন্দন জানাবেন।

ইদানীং মন্ত্রী-মিনিস্টারের ফোন তার কাছে পানি-পান্তা মনে হয়। কিন্তু মন্ত্রী সাহেব বললেন ভিন্ন কথা। বললেন, ওসি সাহেব, শরীর ভালো? জি,স্যার। আপনার লকারে রাজীব আর কালা রমজান নামের দুই আসামি আছে না? হ্যাঁ, স্যার আছে। ওদের দুইজনকে জুরাইনের জোড়া খুনের মামলার আসামি করে চালান করে দেন।

কিন্তু স্যার, ওরা তো ছিঁচকে চোর, পকেটমার। ওরা তো খুন করে নাই। আপনি এত কথা বলেন কেন? যা বললাম তা-ই করেন। সময়মতো এসে ভাগের টাকাটা নিয়ে যাবেন। ওসি সাহেব দুই গ্লাস পানি খেলেন।

একেবারে নিরপরাধ দুজনকে জেলে টেলে পাঠালে এক কথা। কিন্তু খুনের মামলায় তো ফাঁসি হয়ে যাবে। তিনি কেন জানি বিষয়টা মেনে নিতে পারছেন না। তারপরও মন্ত্রী বলে কথা। চালান তো দিতেই হবে।

মোবাইলটা আবার বেজে উঠল। তিনি কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললেন, হ্যালো। দুজনকে ছেড়ে দিন। কিন্তু মন্ত্রী সাহেব তো তাহলে শুধু আমার চাকরিই খাবেন না। বরং জানেও মেরে ফেলবেন।

আপনের মৃত্যুভয়ও আছে না কি? ওসি সাহেব ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলেন। আমতা আমতা করে বললেন, তা তো আছেই। তাহলে রাজীব আর কালা রমজানকে ছেড়ে দিন। নইলে ওই মামলায় ওদের ফাঁসি হয়ে যাবে। তিন. ওসি সাহেব বুঝতে পারছেন না যে, মোবাইলে সিম নেই তাতে ফোন আসে কেমন করে।

সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার মোবাইলটাতে চার্জ দেয়ার জন্য কোনো জায়গা নেই। তিনি গত চার মাসে একদিনও মোবাইলটা চার্জ দেননি। চার্জারই নেই তার কাছে। তারপরও চার্জ আছে। মোবাইলটা সত্যিই রহস্যময়।

যে মেয়েটা কথা বলে সে এত কিছু জানে কিভাবে? কে এই মেয়ে? এরপর ফোন এলে জিজ্ঞেস করবেন। এসব ভাবতে ভাবতেই তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। ওসি সাহেবের ঘুম ভাঙল রাত তিনটায়। কৃষ্ণপক্ষের আজ চতুর্থ দিন। তিনি ঘুটঘুটে অন্ধকারে বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন।

একটা সিগারেট ধরালেন। এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠল। মোবাইলটা ধরেই বললেন, আপনি আসলে কে? হ্যাঁ, মুন্সি একরামুদ্দোলা, আজ আমি আমার পরিচয় দেব। আচ্ছা এই মোবাইলে তো সিম নেই। এমনকি চার্জ দেয়ার জায়গাও নেই।

তারপরও ফোন আসে কেমন করে? এসব জানা তো আপনার জন্য জরুরি নয়। তাই না? বরং মন্ত্রী সাহেবের কথা না শুনে আসামি ছেড়ে দেয়ায় আপনি সাসপেনশন হয়েছেন এই তো। সব আপনার জন্য। এই বয়সে চাকরি নিয়ে গোলমাল। কোনো মানে হয়।

আচ্ছা, মন্ত্রীর ছেলে মারুফের কী অবস্থা। ও তো বেরিয়ে যাবে। এই দেশের আইনে আর যাই করা যাক ক্ষমতাসীনদের আটকিয়ে রাখা যায় না। মারুফ কি খুব বড় কোনো অন্যায় করেছে? অবশ্যই, সে মেয়েদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। সেটা তো আপনিও করেছেন।

আজ থেকে ষোল বছর আগে। কিন্তু আপনি জানলেন কিভাবে? এটা তো কেউ জানে না। কেউ না জানলেও একজন তো অবশ্যই জানে। কী বলেন? ওসি সাহেব কাঁপতে শুরু করলেন। তার কণ্ঠ জড়িয়ে এল।

তিনি কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, আপনি কে? কে আপনি? সত্যিই আমার পরিচয় চান আপনি? হ্যাঁ, চাই। চিতকার করে উঠলেন তিনি। আমার পরিচয় মানুষ একবারই পায়। মানে। মানে খুব সহজ।

আমি মৃত্যু। আমি আপনার কাছেই আসছি। ’ ওসি সাহেবের হাঁত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এল। তিনি মোবাইলটা ছুড়ে ফেলে দিলেন। প্রচণ্ড অন্ধকার হয়ে আসছে তার চারধার।

আকাশের ক্ষীণ আলোও নিভে গেল। কে একজন স্পষ্ট বলে উঠল, বলেন তো আপনাকে দিয়ে কিছু ভালো কাজ করে নিয়েছি কেন? কেন? কারণ আপনি সারাজীবন যত পাপ করেছেন তার শাস্তি এত বেশি যে, তা ভোগ করার মতো অবস্থা আপনার নেই। কিছু কিছু মানুষ তার অপরাধের সীমা অতিক্রম করে ফেলে। আপনি সেই দলের। এ কারণেই কিছু ভালো কাজ করিয়ে নিলাম।

’ অন্ধকারটা আরো ঘনিয়ে এল। কে যেন বলল, এসো আমার বুকে এসো। আমিই Reality of Soul, আমিই কৃষ্ণপক্ষ, আমিই তোমার মৃত্যু...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।