লোকে বলে আমি ভালো চন্ডীদাস নামক এক প্রেমিক পুরুষ ছিলেন যেকিনা ১২ বছর(আমার জানা মতে) কোন এক নদীর তীরে বসে থাকতেন। কিসের আশায়? সেটা আমাদের সবারই জানা। কিন্তু তাঁর হাতে থাকত একটি ছিপ(মাছ ধরার)। সেই ছিপ ফেলে তিনি চুপচাপ বসেই থাকতেন নদীর ঘাটে। সেই পথ দিয়েই রজকিনী নামের এক গ্রাম্য তরুণী যাওয়া-আসা করত।
উচ্ছল সেই তরুণী বিণুনী দুলিয়ে তার সখীদের সাথে নদীতেই পানি তুলতে যেত। রোজকার ঘটনা। চন্ডীদাস বসে থাকে ছিপ নিয়ে; আর রজকিনী সেই পথ মাড়িয়ে পানি তুলে নিয়ে যায়। এইভাবে দিন যায়-দিন আসে। চন্ডীদাসের সাথে রজকিনীর চোখাচোখিও যে হয়না তা নয়।
কিন্তু সেটা কেউ কাউকে বুঝতে দিতে চায় না। এইভাবে দিন কেটে যায়। একদিন রজকিনীর কি খেয়াল হয়। সে চন্ডীদাসকে গিয়ে সুধায়,এতদিন তাকে দেখেই এসেছে ছিপ ফেলে বসে থাকতে; সেকি কোন মাছ আদৌ ধরতে পেরেছে কিনা। তখন চন্ডীদাস মুচকি হেসে বলেন-"এই মাত্র আমি মাছ ধরলাম"।
এরপর চলতে থাকে কাহিনী নিজের মত।
এই হচ্ছে চন্ডীদাস আর রজকিনীর প্রেম কাহিনীর সারমর্ম।
কিন্তু মজার কাহিনী হচ্ছে আধুনিক কালের চন্ডীদাসেরা। তেনারা একটা নয় কয়েকটা ছিপ একসাথে ফেলে; তাও আবার ভিন্ন ভিন্ন ঘাটে। আর রজকিনীরাও ভিন্ন ভিন্ন ঘাটে গিয়ে জল তুলে আনে টোপ ও গিলে ফেলে যখন ইচ্ছা তখন।
গেলার সময় বেশীরভাগ সময়ই ভাবেনা কিছু; কিংবা উগরোবার সময়ও ভাবেনা। আবার চন্ডীদাসেরা এখন আর ১২ বছর ছিপ ফেলে বসে থাকেনা। তারা একটার পর একটা ছিপ ফেলতেই থাকে। অনেক সময়ই একসাথে অনেক খানে তাও আবার সেটা ২/৩ মাসের বেশী সময় ধরে না। আসলে এখন মাল্টিটাস্কিং/মাল্টিথ্রেডিং এর যুগ।
তাল মিলায়ে না চলতে পারাটাই লজ্জার বিষয় । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।