আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ ভাল যার-সব ভাল তার, আখেরে লেজে গোবরে সরকার [শততম পোষ্ট]!

বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !

সফলতা আর ব্যর্থতার সংমিশ্রণে গড়া মানুষের জীবন । বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার অবকাঠামোর একদল প্রতিভাবান (স্ব স্ব ক্ষেত্র উজ্জ্বল) মানুষের কাজের বিচার করতে গেলে সাদাচোখেই তাঁদের সাফল্য আর ব্যর্থতাগুলো ধরা পড়ে । সফল মানুষের সাফল্যগাঁথা রচিত হয় আর ব্যর্থতাগুলো একসময় ঢাকা পড়ে যায় সাফল্যের চাপায় । সে সূত্রে, বর্তমান সরকারের সাফল্যের খসরা দীর্ঘায়ীত হবে সন্দেহ নেই । বলা বাহুল্য, সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন দূরদর্শী,ক্ষিপ্র, সাহসী এবং চমকপ্রদ ।

দেশের ঘাঁড়ে সিন্দবাদের ভূতের মত চেপে বসা অসত্‌ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নেয়া সরকারর যুগপত্ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যত বাংলাদেশ এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে এক অনন্য সাধারণ মেসেজ । এটি এমন এক নজির, যার জন্যে ভবিষ্যত রাজনীতিকরা ভাবতে বাধ্য হবেন, তারা তাদের রাজনৈতিক দুবৃর্ত্তায়ন আর রাজনৈতিক সংস্কৃতি কতটুকু বদলাবেন বা আদৌ বদলাবেন কিনা । শক্ত অবস্থান নিয়ে সরকার যে নজির সৃষ্টি করলেন, সেখান থেকে বাংলাদেশ নামক ভূ-খন্ডটির নব যুগের সূচনা হলো কিনা, তা আমাদের বলে দেবে ভবিষ্যত । তবে, বর্তমানে সরকারের যে দুর্বলতা আর খামখেয়ালীপনার কথা না বললেই নয়, তা হলো- এ পর্যন্ত এসে সরকার তাঁর দৃঢ়, অনড় আর নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে খানিকটা হলেও ব্যর্থ হয়েছেন । দেখে-শুনে মনে হচ্ছে,-'আল্লাহর আইন চাই-সত্ লোকের শাসন চাই' শ্লোগানে উজ্জিবিত জামাতিরা সব সত্ লোক এই মতে সরকারও বিশ্বাস করেন ! সরকার বিশ্বাস করেন কারণ, তাদের দুর্নীতি প্রমাণে সরকার ব্যর্থ হয়েছেন ।

তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয়, সত্ লোক জামাতিরা সব সাধু-সুফি পরিবারের সদস্য তারপরও বলার থাকে,- দুর্নীতিকে এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া লম্পট শিরোমণি হু মো এরশাদ ঠিক কোন যাদুমন্ত্রবলে গা বাচিয়ে নিজেকে বিদেশের মাটিতে নিয়ে গেলেন ? পীর ভক্ত সাবেক এই সৈর শাসক স্বয়ং কবে এমন পীর বনে গেলেন যে,জনগণকে কেরামতি দেখিয়ে দিলেন গ্রেপ্তার এড়িয়ে গিয়ে ? এ যৌক্তিক প্রশ্ন এখন দাঁতাল হাসি হাসছে সরকার পানে চেয়ে । নিন্দুকরা বলে থাকেন, এল জি আর ডি সবচে দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রনালয়গুলোর একটি । কারণ, অপরাপর মন্ত্রনালয়ের তুলনায় এখানে দুর্নীতির নায়ে ভেসে বেড়ানো অনেক বেশী সহজ । এ মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী মহোদয় তার দুর্নীতির নায়ে ভেসে বেড়িয়েছেন এবং অনিমজ্জমান তার নাওটি এখনও বহাল তবিয়তেই আছে সরকারের বিশেষ কৃপায় । দাবা ঘরের একটি সামন্য সৈনিকের মত মি.মান্নান ভূঁইয়াকে সামনের দিকে (চালানো হচ্ছে) এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সরকার ।

অনেকেই বলছেন, মান্নান ভূঁইয়া নামক এই দাবা গুটির চালগুলো জানু খেলোয়ার (গ্র্যান্ড মাষ্টার) সরকারের জন্য খুব সস্তা হয়ে যাচ্ছে । এই সরকারের বাকী দিনগুলোতে অধীর আগ্রহে আমরা এখন লক্ষ্য রাখবো,- সৈনিকের এই সস্তা চালেই কি সরকার কিস্তিমাত করবেন ? নাকি প্রয়োজন পুড়োলেই প্রতিপক্ষের করতলে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেবেন আপন সৈনিক ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।