মিটার জালিয়াতি,অবৈধ সংযোগ, মিটার কে রির্ভাস গুরিয়ে ইউনিট কমানো,কম বিল করা, এই সবই সম্ভব টাকার বিনিময়ে।
আর টাকা না ফেলে ভাল মিটারকে খারাপ ঘোষনাদিয়ে কয়েকগুন বেশী বিল করা,অনুমোদিত সংযোগ ইচ্ছাকরে না করা, বিয়ে বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠান চলাকালে সে এলাকায় লোডসেডিং করা, এইসবই হচ্ছে চৌমুহনী বিদ্যুত বিতরন কৃর্তপক্ষের কর্মচারী এবং কর্মকর্তা দ্বারা।
অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত মিটার রিডারদের কাছে একধরনের জিম্নি হয়ে পড়েছেন খোদ প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলী। বললেন তার অসহায়ত্বের কথা। "এরা ইউনিয়ন করে এদের বিরুদ্বে কোন শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নিলে এরা আন্দোলেন যাবে তখন অচল হয়ে পড়বে বৃহত্তর চৌমুহনী এলাকার একমাত্র এই বিদ্যুত কেন্দ্র টি"।
আর সে সুযোগে লাইনম্যান,মিটার রিডার,বিল ডিস্ট্রবিউটর,সহকারী প্রকৌশলী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন সাহেব তার অফিসেই খুলে বসেছেন মিটারের দোকান, যে মিটারের বাজার মূল্য ৭০০/৮০০ টাকা তা তার কাছ থেকে কিনতে হয় ১২০০/১৫০০ টাকায়।
তার অধীনস্থ মিটার রিডাররা গ্রাহকদের সচল মিটারকে ঘোষনা দেন অচল বলে এবং বিল তৈরী করেন অনুমানিত(
ঢুটহমৃটডি) যার সাথে পূর্ববর্তী মাস সমূহের বিলের কোন সামন্জস্য থাকে না, কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুন,তিনগুন বা চর্তুগুন পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাধ্য হয়ে গ্রাহককে নতুন মিটার কিনতে হয়। আর তা না হলে মাসের পর মাস পরিশোধ করতে হয় তাদের মনগড়া বিল।
এই হচ্ছে সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার সাহেবের কর্মকান্ড।
আর মিটার রিডারদের সাথে যদি সুসম্পর্ক না থাকে তাহলে আপনার মিটারকে অচল বলে ঘোষনা দিয়ে মাসের পর মাস বিল তৈরী করবে তাও আপনাকে বলবে না যে আপনার মিটারটি খারাপ তা পরিবর্তন করতে হবে। আর বিল তৈরী হবে তার ইচ্ছার উপর। মাসে মাসে কিছু টাকা দিয়ে তাকে হাতে রাখতে পারলে আপনি হাজার টাকার বিদ্যুত ব্যাবহার করলেও আপনার বিল হবে মিনিমাম চার্জ।
কেন্দ্রটির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা আবাসিক প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করার পরও তিনি ঐ সমস্ত কর্মকর্তা,কর্মচারীদের বিরুদ্বে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারেন নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।