মাদ্রাসার উপাচার্য (মোহতামিম) মুফতি আবদুল কাসিম নোমানি এই ফতোয়া দিয়ে বলেছেন, ইসলাম কোনোভাবে ভিডিও বা চিত্রধারণকে স্বীকৃতি দেয় না।
সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে টেলিফোনে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “চিত্রধারণ সম্পূর্ণ অনৈসলামিক। পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে ছবি তোলাকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। ”
সৌদি আরবে মক্কায় ছবি তোলার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ নেই। সেখান থেকে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেও হজের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া এবং নামাজও সরাসরি সম্প্রচারিত হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে মুফতি নোমানির বক্তব্য: সৌদি আরব এমনটি করতে পারলেও তারা এ ধরনের কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দেবেন না।
ছবি তোলাকে নিজের পছন্দ হিসেবে উল্লেখ করে একজন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী পেশা হিসেবে এটিকে ইসলাম স্বীকৃতি দেয় কি না- জানতে চান।
জবাবে দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ দারুল ইফতা জানায়: “ছবি তোলা হারাম এবং পাপ। এটা করো না। তোমার উচিত প্রকৌশল বিষয় সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ক্ষেত্রে চাকরি খোঁজা।
”
মুফতি নোমানি এই ফতোয়ার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় ফতোয়ার মাধ্যমে ‘নারী নির্যাতনের’ ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। এসব ঘটনার পর বিভিন্ন পর্যায় থেকে ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণার দাবি ওঠে।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। রায়ে ঘোষণা আসে- ‘ফতোয়া অবৈধ’।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।