আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা।
বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য-ঘরের উঠনে পরে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত,
রক্তের কালো দাগ যেন উত্তরাধিকার সূত্রে আসাদিত।
যেখানে শকুনেরা তাবৎ হিংস্রতা নিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে পা হতে মাথার।
আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য- দুষ্প্রাপ্য স্বত্বায় প্রতিষ্ঠিত প্রানের কাব্য।
ত্রৈকালিক মায়ার আমার নেই প্রয়োজন- হৃদয়ে আছে স্বর্ণকূপ মানিক রতন,
ঐতিহ্যের দাবিতে দিয়েছি প্রান দক্ষিনা,
ভাষা আমার প্রজ্ঞায়, মননে পূর্ণ স্বাধীনতা।
আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য- মুক্তির মিছিলে সোচ্চার আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
দখলিদারের দানব পেশীতে ছুঁড়েছি ঘৃণার তীর-রক্তিম সূর্য আমার আমি দুর্বিনেয় বীর।
আলোহিত রক্ত চক্ষুর ভয় আমি করি না- আমি বাঙ্গালী , বাংলাই আমার প্রানের ভাষা।
নিস্প্রভ নই আমি, দুরাত্মার চোখ উপড়ে ফেলে অর্করশ্মি আনি।
আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য- অয়োময় বাঁধন ছিন্ন করে এনেছি কমনীয় ঐতিহ্য।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই শ্লোগানে মুখর রাজপথ- কুশপুত্তলিকায় পুড়েছে দ্রোহ,ভেঙ্গেছে শিকারির বিষ দাঁত,
বাতাসে শীষ কেটে এসেছে বারুদের ঘ্রান-রাজপথ হয়েছে নদী লিখে রক্তাক্ত কিছু নাম।
উম্মত্ত আমি ভুলে সব বানী জ্বালিয়েছি বিজয়ের মশাল- ভাষা আমার শূন্য দেহে এনে দেবে প্রান।
আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য- আমি মরেছি শতবার তবু মাথা নিচু করি নি একটুও।
মাংসের সাথে সঙ্গতি করে গনচুম্বনের ভয়ে বিপ্লবকে ওরা ঠাই দিয়েছিল শহীদ বেদীতে,
ভয় কেন পাবো আমার আছে অজস্র ভাষা সৈনিক, গর্বিত আমি , ধন্য জীবন জন্মে বাংলাদেশে।
রতিপথ ধরে স্বর্গগামী তোমাদের পা চুমি- নতজানু হয়ে হৃদয় সপে তোমাদেরই ভালবাসি।
আমার আছে অলৌকিক ঐশ্বর্য- আমার আছে একুশ আর বাংলার মানচিত্র। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।