হেথায় কিছু লিখব বলে চায় যে আমার মন, নাই বা লেখার থাকল প্রয়োজন!
বিভিন্ন দেশেই বিভিন্ন উপলক্ষে গণ বিবাহের সংবাদ পাওয়া যায়। লিবিয়াতে সেই ব্যাপারটা ঘটে প্রতি বছর আউয়াল (পহেলা) সেপ্টেম্বরে। দিনটি লিবিয়ার বিপ্লব দিবস। (#1) প্রতি বছর এই দিনে মোয়াম্মার আল গাদ্দফী কোন একটা শহরে যান এবং সেখানে দিবসটির মূল অনুষ্ঠান পালন করা হয়। সেই দিন সেই শহরেই সরকারি খরচে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপুল সংখ্যক বর-কনের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
ধারণা করা হচ্ছে এ বছর 1লা সেপ্টেম্বরের মূল অনুষ্ঠানটি হবে বেনগাজীতে। (#2) কাজেই বেনগাজীতেই এই গণবিয়ের অনুষ্ঠানটি হবে। শোনা যাচ্ছে এবছর 1500 বর-কনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এদের প্রত্যেকের বিয়ের যাবতীয় খরচ (স্বর্ণ-গয়না ছাড়া) দেওয়া হবে সরকারিভাবে। এছাড়া প্রত্যেক নবদম্পতিকে একটি করে ফ্ল্যাট এবং নগদ 1500 দিনার (1 দিনার = .77 ডলার) করে উপহার দেওয়া হবে।
কি সৌভাগ্য!
(#1) যদিও সাধারণ ভাবে একেই স্বাধীনতা দিবস বলা হয়ে থাকে, আসলে এটা গাদ্দাফীর ক্ষমতা গ্রহণ দিবস। প্রকৃতপক্ষে লিবিয়ার ইতালির কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে 1954 সালের 24শে ডিসেম্বর জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে আনুষ্ঠানিক ভাবে। কিন্তু লিবিয়ার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সেই স্বাধীনতার তেমন কোন গুরুত্ব নেই। সেই দিনটিতে এমনকি লিবিয়াতে সরকারি ছুটিও দেওয়া হয় না এবং কোন অনুষ্টানও পালন করা হয় না। 1969 সালের 1লা সেপ্টেম্বর গাদ্দাফীর ক্ষমতা দখলের পরই লিবিয়াতে উন্নতির ছোঁয়া লাগে এবং তখন থেকেই স্বাধীনতা প্রকৃতপক্ষে অর্থবহ হয়ে উঠতে শুরু করে।
(#2) অবশ্য এখনও নিশ্চিত না। গাদ্দাফী পৌঁছার এক মুহূর্ত আগেও নিশ্চিত হওয়া যাবে না। প্রতি বছরই দুই তিনটা শহরকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয় এবং হয়তো শোনা যায় গাদ্দাফী মিসরাতায় যাবেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা যায় তিনি কুফরায় গিয়ে হাজির হয়েছেন। নিরাপত্তার স্বার্থেই এরকম করা হয়। অগণতান্ত্রিক শাসন তো! তাই নিরাপত্তার ব্যাপারটা একটু বেশিই ভাবতে হয়।
লিবিয়া এবং গাদ্দাফী সম্পর্কে আরও জানতে আমার এই পোস্টটি পড়ুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।