আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ ই রবীউল আউয়াল, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-২

ধর্মব্যবসায়ী, আশাদ্দুদ দরজার জাহিল উলামায়ে সূ’রা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে বলেছে, রবীউল আউয়াল শরীফ মাস হিসেবে বিশেষভাবে সীরাতুন নবী মাহফিল করা যেতে পারে। এর জাওয়াব হলো- রবীউল আউয়াল শরীফ মাস হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ তথা বিলাদত শরীফ-এর মাস। কাজেই সেই বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উম্মাহকে ঈদ তথা খুশি প্রকাশ করতে হবে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন বা উদযাপন করতে হবে। এটা উম্মাহর জন্য ফরয। এ প্রসঙ্গে স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক-এ ইরশাদ করেন- قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক ফযল-করম হিসেবে তাদেরকে যে দ্বীন ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।

এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। (সূরা ইউনুস-৫৮) মূলত ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত, ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা বর্ণনা করতে হবে এবং উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করতে হবে এবং এ উপলক্ষেই মাহফিল বা মজলিসের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নূরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনার মুহব্বত ও ইতায়াতের মাধ্যমে উনার শাফায়াত ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। সুতরাং, যারা রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে সীরাতুন নবী’র মাহফিলের কথা বলে তাদের সে বক্তব্য সম্পূর্ণ গুমরাহীমূলক। কারণ ‘মাহে রবীউল আউয়াল শরীফ’ সীরাতুন নবীর জন্য নির্দিষ্ট মাস নয় যে, এ মাসে বিশেষভাবে সীরাতুন নবীর মাহফিল করতে হবে। কারণ আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীরাত মুবারকের আলোচনা তো বছরের যে কোন সময় যে কোন দিন যে কোন সপ্তাহ ও মাসে করা যেতে পারে এবং সে হুকুমই কালামুল্লাহ শরীফ-এ ঘোষণা করা হয়েছে।

আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন- انا ارسلنك شاهدا ومبشرا ونذيرا لتؤمنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا. অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারী হিসেবে এ কারণে যে, তোমরা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনবে এবং উনার খিদমত করবে, উনাকে ইজ্জত-সম্মান করবে এবং উনার ছানা-ছিফত বর্ণনা করবে সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সবসময়। ” (সূরা ফাতহ-৯) অতএব, রবীউল আউয়াল শরীফ যেহেতু মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাস সেহেতু এ মাসে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেই মাহফিল করতে হবে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিল করতে হবে। ১২ ই রবীউল আউয়াল, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিরোধীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১ মন্তব্য করতে প্রথম পর্বে প্রকাশ করুন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।