আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যদি না শান্তিও ভয় পায়। (গল্পটি পড়–ন, বোঝার মত কিছু নেই অবশ্য)

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

সে এক গ্রামের কথা। গ্রামটির সঠিক নাম মনে না পড়ায় , ধরে নিন তার নাম কাঙাল গ্রাম। হতে পারে সেটি আপনারই জন্ম স্থান অথবা আপনার বাড়ীর পাশের কোন গ্রাম। সেই গ্রামে দুই ঐতিহ্য বাহী পরিবার। ঘুরে ফিরে বারবার এই দুই পরিববার থেকেই মোড়ল হয় গ্রামে।

চলে আসছে এভাবেই। আবর্তন হয় মোড়লের কিন্তু গ্রামে এক শক্তিশালী লাঠিয়াল বাহিনী ছিল। সেই বাহিনী কিন্তু পরিবর্তন হয়না। এইটাই আর সব গ্রামের মোড়ল ব্যবস্থার সাথে এই গ্রাম কে পৃথক করেছে। এভাবে সময় যাচ্ছিল।

কালক্রমে গ্রাম এর কিছু যুবক বহি অঞ্চল হতে নানান বিষয়ৈ উচ্চ শিতি হয়ে ফিরে এল। শাসনের ক্রম ধারাবাহিকতায় দুই পরিবারেরই স্বেচ্চাচারিতার স্পষ্ট আচরণ পরিলতি হতে লেগেিেছল। সেটাই হয়। জোড় যার মুল্লক তার। কিন্তু সেই জোড় খাটাতে হয় কিন্তু কমন সেই লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করেই।

শিতি জাগ্রৃত যুব সমাজ ( যারা কোন এককারনে , বিশেষ কারনে, গ্রামেই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে) পুরাতন সেই সব স্বেচ্ছাচারিতার ক্রম কেন মানবে। তারা সাধু কথা বলতে লাগল। লাঠিয়াল বাহিনীও ওৎ পেতে ছিল। কেন তারা বারেবারে দুই মোড়লের হয়ে জোড় প্রয়োগ এর কামলা খাটবে। না না না।

এক তীব্র মৌণ আন্দোলন শুরু হয়ে গেলে। এবং হঠাৎ একদিন নতুন শিতি লোক গুলো মোড়ল দ্বয় কে সরিয়ে নিজেরাই মোড়ল হয়ে বসল। ঘোষনা দিল, তারা সাময়িক মোড়ল। গ্রামের সর্ব স্তরের সবার মাঝথেকে মোড়ল চুজ করা হবে। দুই পরিবারের মোড়ল গিরি মাইনাস করতে ই হবে।

ল্য তাদের। শুর হলো সেই মতে কর্ম। কিন্তু শক্তির যে অমোঘ প্রয়োজন সেতো বোকাও বোঝে আর তারা তো বুদ্ধিদীপ্ত। লাঠয়াল দের মনে তাই নতুন কর্মবেগ চঞ্চলতা ছড়াল। তারা সর্বত্র ছড়িে য়পড়ল গ্রামের মাঠঘাট সব কেটে ছেটে সৌন্দর্য বর্ধন করতে।

আর লেগে গেল লাঠির গায়ে তৈল লাগিয়ে নান্দনিক লাঠি পেটায়। গ্রামবাসীর বোঝা উচিৎ লাঠির কত গুন , কত সৌন্দর্য। গ্রামবাসীও মোড়লদের দাপট হতে পরিত্রান পেয়ে প্রাথমিক খুশী বেশ। কিন্তু লাঠি দৌড়ায়। গ্র ামের সীমানায় যখন যে বাসীর পিঠ ঠেকে যায় সে পড়ে যায়।

লাঠি ধরে উঠতে গেলে তৈলে হাত ফসকায়। এখন তো গ্রামবাসীর মনে দ্বন্দ। মিষ্ট ভাসি মার্জিত রুচির জ্ঞান সমৃদ্ধ অধুনা শিতি সমাজ নানা যুক্তি আর জ্ঞানের কথা বোঝায় গ্রামবাসীকে। কেউ অতি বুদ্ধিমান ভেবে বুঝে ফেলে। কেউ বোকা হয়ে বিশ্বাস করে নেয়।

আর কেউ মাঝামাঝি থেকে দ্বন্দে পড়ে আরও বেশী। সময়ের আবর্তন হতে থাকে , অনেকে ভাবতে থাকে জ্ঞানের কদর বেশী হচ্ছে নাকি লাঠির.. কেমন জান একটা কুয়াশা। গ্রামবাসীর সন্দেহ দূর করতে নব্য সাময়িক মোড়লদের এক প্রতিনিধি বলে বসেন, আসলে সন্দেহের কিছু নাই, ইহা হইল লাঠিয়াল বাহিনী সমর্থিত গ্রামবাসী মোড়ল ব্যবস্থা। যাক উক্তি শুনে গ্রামবাসীর সন্দেহ একটু কমে। বুঝে নেয় ইহা জ্ঞান আর লঠির মিশ্রনে কিছু একটা।

কিন্তু পরদিনই লাঠয়াল দলের মুখ্যব্যক্তি একজন বলে ওঠে খোলা মাঠে চিৎকার করে, আরে না , ইহা তো কেবল ই অধুনা শিক্সিত সমাজের সাময়িক মোড়ল ব্যবস্থা। আমরা আগেও মোড়ল এর লাঠিয়াল ছিলাম, সহোযোগীতা করেছি এখনও তাই। সামনেও তাই করব। গ্রামবাসীর আবারও মনে উথাল পাথাল। গ্রমাবাসীর মনে অশান্তীর পোকা হু হু করে বাসা বাধার পায়তারা ঁেখাজে।

কিন্তু লাঠির চকচকে তৈল দেখে অশান্তির ও নিশ্চিয় ভয় হয়। তাহলে সম্মুখে নিশ্চিত শান্তি। যদি না শান্তিও ভয় পাওয়ার মতো উপযুক্ত হয়ে পড়ে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।