নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
“কারফিউ” গত ৩দিনের উল্লেখযোগ্য শব্দ এবং ব্যবহারিক জীবনের প্রত্যক্ষ ঘটনা। কারফিউ-কে ঘিরে আমাদের আশা, ভালবাসা, আকাঙ্খা, ত্যাগ, আশংকা কোনকিছুই বাদ পড়ছেনা, রেরিয়ে আসছে এক এক ধারা থেকে মত, ভিন্নমত। সেই কারফিউ-কে ঘিরে যখন এত জল্পনা, কল্পনা তখন তা প্রতিদিনকার জীবনে, চলার পথের কর্মকান্ডে কিছুটা হলেও যে কারফিউ প্রভাব রেখে চলেছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র ..........
বাসা :
অফিসে আসব, বাসা থেকে বের হচ্ছি পেছন থেকে মা-এর কড়া আধ্যাদেশ আমার উপর বর্ষিত হল “আজ যদি দেরী করে ঘরে ফিরিস, তবে তোর জন্য কারফিউ জারি করা হবে, রাত ১০টার পর থেকে কারফিউ শুরু হবে, মনে থাকে যেন কথাটা”
অফিস :
সকাল থেকেই বসের মেজাজ খারাপ, পুরো অফিস গরম। কাজ ছিল তাই রুমে ঢুকতে যাচ্ছি ফিছন থেকে কলিগের ডাক শুনে ফিরে গেলাম ঘটনা জানতে, “বস, স্যারের রুমে যাবেননা প্লিজ, কারফিউ চলছে, সকাল থেকেই যে গিয়েছে মাইর খেয়ে ফিরেছে”
-মাইর মানে?
মানে কড়া ঝাড়ি ........
কলেজ:
অফিস শেষে কলেজের ক্লাসে, স্যারের কড়াকড়ি ডায়ালগ “কাল যদি এ্যাসাইনমেন্ট জমা না দেওযা হয় তবে, এ ক্লাসে তোমাদের জন্য কারফিউ ঘোষনা করা হল, যেই এ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া ক্লাসে ঢুকবে তার কপালে খারাপী আছে আগেই বলে দিচ্ছি”
বউ:
গতকালই আপন বিবির সাথে একটু মনোমালিন্য, তাতেই বিবি সাহেবান মন মেজাজ ভারী করে আছেন, সারাদিন শেষে বিছানায় যাওয়ার আগেই ভারী গর্জন শুনতে হল “আজ তুমি এ বিছানায় শোবেনা, তোমার জন্য আজ এ বিছানায় কারফিউ দেয়া হল, যতদিন মন ভাল হবেনা ততদিন কারফিউ বলবৎ থাকবে”
মহা বিপদে আছি, এমনিতেই সরকার কতৃক দফায় দফায় কারফিউ, তার উপর ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, অফিসেও এই কারফিউ-এর কবলে আছি, এর থেকে বোধহয় রক্ষা পাবার কোন উপায় নাই, কিছুদিন পর হয়ত আমাদের শরীরে, রক্তে, শিরায়, উপশিরায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে কারফিউ একাকার হয়ে যাবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।