নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
সফলতার প্রতিবন্ধকতা:
বাংলাদেশে ইকমার্সের ক্ষেত্রে বর্তমানে চলছে কোনরকমে বেচে থাকার প্রচেষ্টা। অধিকাংশ ইকমার্স সাইটগুলোর মাস শেষ মুনাফা তো দুরের কথা আসল টাকা ফেরত পেতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে সকল কারনে দেশীয় ইকমার্সগুলো সফলতার মুখ দেখছে না তার অন্যতম কারন নিম্নরূপ:
১. ছোট মার্কেট
২. প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ইকমার্সের আগমন
৩. পন্যের লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধি
৪. বিশ্ববাজারে অস্থিরতা
৫. ৯/১১ এর পর পশ্চিমা বিশ্বে মুসলমানদের নাজুক অবস্থান
৬. দেশের বাইরে বাংলাদেশীদের কাজের পরিধি কমে আসা
৭. দেশে ভাল বেতনে কাজের সুযোগ
৮. বিদেশ থেকে সহজে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা থাকা
৯. ইকমার্স সাইটগুলোতে পন্য বৈচিত্র না থাকা এবং সীমিত সংখ্যক পন্য থাকা
১০. পন্যের অস্বাভাবিক মুল্য নির্ধারন করা
১১. মান নিয়ন্ত্রন না করা
১২. পন্যের দাম অনুযায়ী ভাল সার্ভিস না দেয়া
১৩. একটি পন্যের অর্ডার দিলে কাছাকাছি অন্য পন্য বা কখনও কখনও বিপরিতধর্মীপন্য গছিয়ে দেয়া
১৪. ভাল নামী পন্যের সংগ্রহ না থাকা
১৫. ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি।
উপরোক্ত কারসমুহ ছাড়াও আরো অনেক কারন রয়েছে যার কারনে বাংলাদেশী ইকমার্স সাইটগুলো সফলতার মুখ দেখছেনা।
প্রতিবন্ধকতা উত্তোরণের কিছু উপায়:
বাংলাদেশে ইকমার্সের সফলতায় সর্বপ্রথম প্রয়োজন সাইটে পর্যাপ্তসংখ্যক পন্য, পন্যের বৈচিত্র, মান সম্মত পন্য, নায্য মুল্য এবং মান নিয়ন্ত্রন করা।
বাংলাদেশী অধিকাংশ ইকমার্সেরই রয়েছে স্বল্পসংখ্যক পন্য ফলে ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় পন্য পেতে সমস্যায় পড়েন। সম্ভাব্য সকল ধরনের পন্য সংযোজন, পন্যের মুল্য সংযোজনে সতর্ক হওয়া। পন্যের মান নিয়ন্ত্রন করা, সঠিক পন্য ডেলিভারি দেয়া, নামী পন্যের সমাবেশ ঘটানো ও ক্রেতাদের চাহিদা ও অভিযোগ/পরামর্শের প্রতি নজর দেয়া হলে সফলতার জন্য খুব বেশি ধৈর্য্য ধরতে হবে না।
ভাল পন্য সেবা:
বাংলাদেশী অধিকাংশ ইকমার্স সাইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সঠিক পন্য ডেলিভারী করে না, অর্থাত অর্ডার দেয়া হয় একটি আর তারা দেয় আরেকটি বা দেয় নিম্ন মানের পন্য। অধিকাংশরই পন্য পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেই।
অর্থাত ভোক্তার পন্য পছন্দ না হলে বা পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করলে তা করে দিতে চায় না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভোক্তার চাহিদা এবং অভিযোগের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তুষ্ট ভোক্তা ক্রেতাকে উদ্বুদ্ধ করবে নতুন পন্য কিনতে।
কাস্টোমার রিলেশান:
ক্রেতা এবং ভোক্তা উভয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুললে বিক্রির হার বাড়বে সুনিশ্চিত।
কেননা নতুন ক্রেতা যেমন প্রয়োজন তেমনি পুরাতন ক্রেতাকে ধরে রাখা তার থেকেও বেশি প্রয়োজন।
আফটার মার্কেটিং:
আধুনিক মার্কেটিং এর জগতে আফটার মার্কেটিং একটি যুগান্তকারী পদ্ধতি। পন্য বিক্রি করেই বিক্রেতার দায়ীত্ব শেষ হয় না। পন্য বিক্রির পরে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া তার কোন সমস্যা হচ্ছে কি না। তার অভিযোগ-পরামর্শ রয়েছে কি না ইত্যাদি।
এর ফলে প্রতিযোগিতামুলক বাজারে সহজেই ক্রেতা-ভোক্তার নজরে থাকা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।